আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে সবাই চেনে। এর কারণ একটাই- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। শুরু থেকেই সে হাস্যরসাত্মক কন্টেন্ট তৈরি করে আসছে। অবশ্য সিরিয়াস বিষয় নিয়েও সে কাজ করেছে। তবে শিক্ষাদীক্ষার অভাব থেকে শুরু করে নানাবিধ কারণে তার সিরিয়াস কাজও হাসির পাত্রে পরিণত হয়েছে। সেসব যদিও এখন পুরনো কথা।
তবে নতুন কথা হলো- হিরো আলমকে নিয়ে আবারও আলোচনার আগুনে ঘি জ্বলে উঠেছে। এবার ঘি ঢেলেছেন নাট্যজন মামুনুর রশীদ। তিনি একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুচি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এমনকি বলেছেন, রুচির দুর্ভিক্ষের কারণেই হিরো আলমদের উত্থান হয়েছে। এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে রুচির দুর্ভিক্ষ হিরো আলমদের নিয়েই কেন?
এমন প্রেক্ষাপটে সাংবাদিক আমীন আল রশিদ বলেছেন, জাতির রুচি নির্মাণে গত ৫০-৫২ বছর ধরে আপনেরা যে এত এত জোট, এত এত প্লাটফর্ম গড়ে তুললেন, তার সব যদি এক হিরো আলম কিংবা ইউটিউব আইসা ভাসায়া নিয়া যায়, সে ব্যর্থতা কার মামুন সাহেব! তার মানে কি এই যে, এইসব প্লাটফর্ম কিছু সংগীতসন্ধ্যা, কিছু মোমবাতি প্রজ্বালন আর কিছু মৌন মিছিলের বাইরে জাতির রুচি ও মনন নির্মাণে কোনো ভূমিকা রাখতে পারে নাই?
এভাবেই নাট্য ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ সমালোচিত হচ্ছেন দেশজুড়ে। যেমন: চিত্রপরিচালক মালেক আফসারী লিখেছেন- নাট্যজন মামুনুর রশীদ স্যারের ইন্টারভিউ এই প্রথম ভাইরাল হলো। কারণ উনি হিরো আলমকে নিয়ে কথা বলেছেন। উনি ভালো বলেছেন না মন্দ বলেছেন এইটা কোনো ব্যাপার না। ব্যাপারটা হলো হিরো আলমকে আরো এক ধাপ এগিয়ে দিলেন স্যার মামুনুর রশীদ।
অন্যদিকে সাংবাদিক আহসান কামরুল ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, রুচির দুর্ভিক্ষ শাখা-প্রশাখা, মূল হচ্ছে নীতির দুর্ভিক্ষ।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত