সাদের হোসেন বুলু: একাধিক এনজিও থেকে পরিবারের প্রয়োজনে ঋণ নিয়ে পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় ঢাকার দোহার উপজেলার নারিশা এলাকায় পদ্মা নদী ডুবে মিনু বেগম(৫৫) নামে এক বৃদ্ধা মহিলা আত্মহত্যা করেছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
মিনু পার্শ্ববর্তী শ্রীনগর উপজেলার মধ্য বাঘরা এলাকার বাসিন্দা। মৃতের মরদেহ ঢাকা থেকে আগত ডুবরির দল পদ্মায় ৪ ঘণ্টা চেষ্টা করেও খুঁজে পায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানায়, বুধবার সকাল ৯টার সময় পদ্মার পাড়ে মিনুকে তারা একা বসে থাকতে দেখেন। অল্প কিছুক্ষণ পর ওই মহিলাকে তারা দেখতে না পেয়ে, পদ্মার তীরে এগিয়ে এসেন। পরে নদীর তীরে মহিলার গায়ে পরা বোরখা, মোবাইল ও একটি চিরকুট পড়ে থাকতে দেখেন। চিরকুটে লেখা আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী কিস্তির স্যারেরা। পরে অনেক খুঁজেও তাকে পাওয়া না গেলে মৃত মিনুর মোবাইলে ফোন আসে তার স্বজনদের। কিছুক্ষণ পর মৃতের স্বজন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবরির দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। ডুবরির দল দীর্ঘক্ষণ পদ্মা নদীতে চেষ্টা চালিয়ে মিনুর মৃতদেহ উদ্ধারে ব্যর্থ হয় বলে জানায় তারা।
মিনুর স্বজনরা জানায়, মিনুর দুই ছেলে প্রবাসে থাকেন। ছেলেরা গত দুইমাস ধরে কোন টাকা পাঠায়নি। ফলে মিনু এনজিওর কিস্তি দিতে ব্যর্থ হয়। অপরদিকে সময় মতো এনজিও কিস্তি পরিশোধ করতে না পাড়ায় এনজিওর কর্মীদের প্রচন্ড চাপ ও অশালীন আচরনে অত্মহত্যা করতে বাধ্য সে।
এ বিষয়ে দোহারে কর্মরত পুলিশ পরির্দশক শফিকুল ইসলাম(সুমন) বলেন, ৪ ঘণ্টা রাজধানী ঢাকা থেকে আগত ডুবরির দল মিনুর মৃতদেহ উদ্ধারের চেষ্টা করে। কিন্তু তার মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে একই দিন বেলা ৩ টার সময় দোহার উপজেলার নাগের কান্দা এলাকার পদ্মার শাখা নদীতে ওই এলাকার শেখ নোয়াব আলীর মেয়ে রুবি আক্তার (৩৮) গোসল করতে নেমে পানিতে তলিয়ে যায়। পরে তার মৃতদেহ ডুবুরি দল নদীর তীরবর্তী একটি এলাকা থেকে উদ্ধার করে বলে এলাকাবাসী জানায়।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত