রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। বুধবার) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয় এবং বিরতি ছাড়াই বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
দুই সিটির নির্বাচনেই সকাল থেকে ভোট দিতে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে মানুষদের।
সিলেটে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীসহ আট মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ চার মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এরমধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অন্তত ২ হাজার ৬০০ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া সহিংসতার ঘটনায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে ৪২টি ওয়ার্ডে ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৪২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে ৪২টি ভ্রাম্যমাণ দল, তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডে ২৪টি স্ট্রাইকিং টিম এবং প্রতিটি থানায় ছয়টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং টিম মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ২২ সদস্যের একটি দল এবং এক প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ওই ওয়ার্ডগুলোতে টহল দিতে প্রস্তুত।
অন্যদিকে রাজশাহীতেও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসন পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমান বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে নগরীতে র্যাবের ২৫০ সদস্য ও ১০ প্লাটুন বিজিবি টহল দিচ্ছে। এছাড়া ৩ হাজার ৫১৪ জন পুলিশ সদস্য ও ৯৩৫ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে ১৫৫টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ১৪৮টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে।