দুই মাদক কারবারিকে পুলিশে দিলেন চেয়ারম্যান

এম. মতিন: চটগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় পাচারকালে ১শ’ লিটার চোলাই মদসহ ক্যাসও মারমা (৪৫) ও সুভাষ তংচঙ্গা (৪০) নামে দুই মাদক বিক্রেতাকে ধরে পুলিশে দিয়েছেন উপজেলার ১৫নং লালানগর ইউপি চেয়ারম্যান।

মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিকাল ৩টার দিকে ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের দরগাহ টিলা নামক এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃত ক্যাসাও মারমা কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মুরালী পাড়া গ্রামের মংশু মারমার ছেলে ও সুভাষ তংচঙ্গা বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার ৭নং ওয়ার্ডের দইছড়ি পাড়া গ্রামের পত্নসেন তংচঙ্গার ছেলে।

লালানগর ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তালুকদার জানান, আগুনিয়া চা বাগান সংলগ্ন নিজ খামার বাড়ি থেকে সিএনজিযোগে বাড়িতে আসার পথে দরগাহ টিলা স্থান পৌঁছলে, স্থানীয় মানুষের জটলা দেখে জটলার কারণ জানতে চাইলে স্থানীয়রা মদসহ দুই মদ বিক্রেতাকে আটকের কথা জানান। পরে চেয়ারম্যান স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে তাদের আটক করেন। এসময় তাদের কাছে ২টি কলার ছারা ও ৩ বস্তাবন্দি ১শ’ লিটার মদ পাওয়া যায়। পরে ২ মদ বিক্রেতাকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে মদসহ তাদেরকে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।

পুলিশের হাতে সোপর্দকালে উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সদস্য মো. নাজিম উদ্দীন, মো. পেয়ারু, সিরাজুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম ও মহিলা ইউপি সদস্য জমিলা বেগমসহ স্থানীয় ইউনিয়নবাসী।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘মাদক কারবারিদের কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। হাতে গোনা কয়েকজন মাদক কারবারির ব্যক্তিগত লাভের জন্য আমাদের যুব সমাজকে ধ্বংস হতে দিতে পারি না। যুব সমাজকে রক্ষায় মাদক বিক্রেতা যেই হোক বা যে পরিবারের সন্তানই হোক, তাদের কোনও ছাড় দেওয়া হবে না।’

রাঙ্গুনিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ কুমার মজুমদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লালানগর ইউপি চেয়ারম্যানের ফোন পেয়ে ইউনিয়ন অফিস থেকে ১শ লিটার লিটার চোলাই মদসহ ২ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেন, দীর্ঘদিন ধরে চোলাই মদ সংগ্রহ করে লালানগর, দক্ষিণ রাজানগরসহ রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাদকসেবী ও কারবারীদের কাছে সরবরাহ করে আসছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে রাঙ্গুনিয়া থানায় মাদক আইনে মামলা করা হবে।