বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থান হবে: ফখরুল

3

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বুধবার থেকে শুরু হতে যাওয়া বিভাগীয় শহরে তাদের দলের সমাবেশের মধ্য দিয়ে সারাদেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি সমাবেশের মাধ্যমে একটি গণঅভ্যুত্থান হবে। হাজার হাজার মানুষ এই সমাবেশে অংশ নেবে। আমরা আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে এই শাসনের পতন ঘটাব।’

মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের দুই অঙ্গ সংগঠন ইসলামী ঐক্যজোট ও ডেমোক্রেটিক লীগের সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল এ মন্তব্য করেন।

দলের পরিকল্পিত বিভাগীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল (বুধবার) চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি বন্দরনগরীর পলো গ্রাউন্ডে সমাবেশ করতে যাচ্ছে, যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন মির্জা ফখরুল।

চলমান বিদ্যুৎ সংকট, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং বিএনপির আন্দোলনের সময় ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও যশোরে পুলিশের গুলিতে বিরোধী দলের পাঁচ নেতাকর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে এটিই হবে প্রথম বিভাগীয় সমাবেশ।

চলমান আন্দোলনের ধারা অব্যাহত রাখতে আন্দোলনের অংশ হিসেবে ২৭ সেপ্টেম্বর ১০টি বিভাগীয় শহরে জনসভা করার ঘোষণা দেয় বিএনপি।

আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগরীতে বিশাল জনসমাবেশের মধ্য দিয়ে বিভাগীয় সমাবেশ শেষ করবে দলটি।

দুই দলের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার হরণকারী বর্তমান অনির্বাচিত ও লুটেরা শাসনের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ার লক্ষ্যে তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা এখন সেই দ্বিতীয় দফা আলোচনা করছি এবং আমরা যুগপৎ আন্দোলনের মূল দাবিগুলো নিয়ে কথা বলছি।’

ফখরুল বলেন, তারা ইতোমধ্যে ১১টি দলের সঙ্গে তাদের দ্বিতীয় ধাপের রাজনৈতিক সংলাপে বসেছেন। ‘বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করার জন্য আমরা যুগপৎ আন্দোলন শুরু করতে একমত হয়েছি।’

আলোচনায় নিজ নিজ দলের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব ও ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি।

দুই দলের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খানও উপস্থিত ছিলেন।

গত ২ অক্টোবর কল্যাণ পার্টির সঙ্গে প্রথম বৈঠকের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ শুরু করে বিএনপি।

সরকারবিরোধী আন্দোলনের দাবি ও ইস্যু চূড়ান্ত করতে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) এবং অলি আহমেদের এলডিপি, কল্যাণ পার্টি, লেবার পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) এবং মুসলিম লীগের সঙ্গেও আলোচনায় বসে দলটি।

এর আগে, গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার ‘পুনরুদ্ধার’ করতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন শুরু করার রূপরেখা তৈরি করতে ২৪ মে থেকে শুরু হওয়া সংলাপের প্রথম পর্বে ২৩টি দলের সঙ্গে আলোচনা করেছে বিএনপি।