বাউফল প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফলে মো. আনোয়ার হোসেন মৃধা(৩২) নামের এক দিন মজুরকে মারধর করার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের অলিপুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলামের উপস্থিতিতে চেয়ারম্যানের লোকজন ওই দিনমজুরকে মারধর করেন। আহত দিনমজুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীণ রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, হতদরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার লক্ষে ৪০ দিনের কর্মসূচির আওতায় সদর ইউনিয়নের অলিপুরা নবী আলী মৃধা বাড়ি থেকে কাটা খালী ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করেন ৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. আলতাফ হোসেন। কয়েক মাস আগেই রাস্তার কাজ শেষ হয়। শ্রমিকের পরিবর্তে ভেকু মেশিন দিয়ে রাস্তার কাজ করেন ইউপি সদস্য আলতাফ। এতে রাস্তার পাশের অর্ধশত তাল খেজুরসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ উপড়ে ফেলা হয়। গাছ উপড়ে ফেলার প্রমাণ ধ্বংস করতে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা গাছ খালে ফেলে দেয় চেয়ারম্যানের লোকজন। যার মধ্যে দিনজুর মো. আনোয়ার হোসেনেরও গাছ ছিল। গাছ ফেলে দেওয়ায় আনোয়ার প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করে চেয়ারম্যানের লোকজন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দিন মজুর মো. আনোয়ার জানান, ভেকু মেশিন দিয়ে রাস্তার পাশের কাট কেটে ফেলা হয়। যার মধ্যে আমার ২টি তালগাছ, ২টি খেজুর গাছ ও ১টি রেইনট্রি গাছ ছিল। আমার গাছসহ রাস্তার পাশের গাছ গুলো চেয়ারম্যানের লোকজন খালে ও পুকুরে ফেলে দেয়। আমার গাছ ফেলায় আমি প্রতিবাদ করে। এতে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। দুপুর ২টার দিকে চেয়ারম্যান লোকজন নিয়ে আমার বাড়ি সামনে আসে। চেয়ারম্যান বাড়ির সামনের দোকানে বসে ছিলেন। চেয়ারম্যানের লোকজন আবদুল হাই, দিলিপ, সালমানসহ ৮/১০জন লোক আমাকে মারধর করে। আমার ঘর ভাঙচুর করে।
ইউপি সদস্য মো. আলতাফ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, আনোয়ারকে মারধর করা হয়নি। আমার নির্দেশ দেওয়ার তো প্রশ্নই উঠে না। মূলত আনোয়ার পাগল টাইপের মানুষ। রাস্তার কাজের শ্রমিকদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় রাস্তার শ্রমিকেরা তাকে ধাক্কা দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেয়।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এটিএম আরিচুল হক বলেন,‘ লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।