বাউফল উপজেলা নির্বাচন: সম্পদে মোতালেব, শিক্ষায় এগিয়ে মোসারেফ

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিবেদক
দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ শে পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শেষ সময়ে জমে উঠেছে নির্বাচন। প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তারা হলেন- বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোসারেফ হোসেন খান, বিমান বাহিনীর ঊহং কমান্ডার (অব:) মশিউর রহমান লাবলু ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক সজল হালদার। তাদের মধ্যে মোসারেফ হোসেন এমপির ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। তার পক্ষে কাজ করছেন এমপি অনুসারী আওয়ামী লীগ নেতারা। অপরদিকে মোতালেব হাওলাদারকে সমর্থন দিয়ে প্রকাশ্য মাঠে রয়েছেন পৌর মেয়র জিয়াউল হক। যার কারণে এ নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতায় মোসারেফ হোসেন খান এবং মোতালেব হাওলাদার থাকবেন বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা সূত্রে জানা যায়, মোসারেফ হোসেন খান উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের কপূরকাঠি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বিএস পাশ। পরে এলএলবিও করেছেন। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। একসময় শিক্ষকতা করতেন। পরে কিছুদিন আইনজীবী পেশায়ও নিয়োজিত ছিলেন। পরপর দুইবারের নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যানও তিনি। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তার আয়ের প্রধান উৎস কৃষি। তিনি বার্ষিক কৃষি খাতে ৮৬২৫০ টাকা, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সম্মানী ভাতা পান ৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা ও ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে বেতন পান ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এতে তার মাসিক আয় ৬ লাখ ৫০ হাজার। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে তার রয়েছে নগদ ৫লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ২লাখ টাকার আসবাবপত্র। আর স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে তার নিজের নামে রয়েছে ৩.১২ একর কৃষি জমি, তার স্ত্রীর নামে ২.৭০ একর কৃষি জমি। ২০ শতাংশ জমির মধ্যে একটি বাড়ি। তিনি কালাইয়া বন্দর কৃষি ব্যাংক শাখায় ২লাখ ৭৫ হাজার টাকার ঋণ রয়েছে।

অপরদিকে মোতালেব হাওলাদার উপজেলার বগা গ্রামের বাসিন্দা। হলফনামায় তিনি বিএসএস ডিগ্রিধারী। যদিও গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি ছিলেন স্ব-শিক্ষিত। পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী তিনি। তিনি বার্ষিক ব্যবসা থেকে ৯লাখ, কৃষি খাত থেকে ৪লাখ, দোকান ও বাড়ি ভাড়া বাবদ ২ লাখ, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ২ লাখ ৪০ হাজার ও উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে বেতন পান ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে তিনি মাসে ২২ লাখ ২০ হাজার টাকা আয় করেন। তার ওপর নির্ভরশীলরা মাসে প্রায় ৬লাখ টাকা আয় করেন। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে তার আছে নগদ ২ লাখ ২৬ হাজার টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণ, ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা মূল্যের আসবাবপত্র, ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোটরসাইকেল, স্ত্রীর ৩০ লাখ টাকা মূল্যের প্রাইভেটকার, ছোট ছেলের সাড়ে ৩ লাখ টাকা মূল্যের মোটরসাইকেল। স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ৩ একর কৃষি জমি, ২.২৮ একর অকৃষি জমি, স্ত্রীর নামে ১০ শতাংশ জমি, সাড়ে ৩ লাখ টাকা মূল্যের টিনশেড ঘর ও একটি মৎস্য খামার যার মূল্য ধরা হয়েছে ৭ লাখ টাকা। এছাড়াও বগা বন্দরে তাদের আলিশান বাড়ি ও ইটভাটার তথ্য হলফনামায় উল্লেখ করা হয়নি। সোনালী ব্যাংক বাউফল শাখায় মোতালেব হাওলাদার ৭ লাখ ৭৬ হাজার টাকা ঋণী।