বাউফল প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফলের কেশবপুর ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যুতে চেয়ারম্যান পদ শূন্য থাকায় ও মামলা জটিলতায় নির্বাচিত প্যানেল চেয়ারম্যান স্থগিত হওয়ায় স্থবির হয়ে পড়া পরিষদ কার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে।
সোমবার (২ অক্টোবর) জেলা সহকারী জজ আদালতে বাদি ও বিবাদি পক্ষ আপোষে মামলা তুলে নেয়। মামলার বাদি ইউপি সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম মামলা প্রত্যাহার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এতে ৪৮দিন ধরে অচলাবস্থায় থাকা পরিষদ কার্যক্রম সচল হয়েছে।
কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদ সূত্র জানায়, ইউপি চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন পিকু কেশবপুর গত ১৪ আগস্ট হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ায় চেয়ারম্যান পদ শূন্য হয়ে পড়ে। স্থবির হয়ে পড়ে ইউপি কার্যক্রম। পরিষদ কার্যক্রম সচল করতে ২৯ আগস্ট ইউএনও কার্যালয়ে ভোটাভুটির মাধ্যমে ইউপি সদস্য শাহজাহান গাজী প্যানেল চেয়ারম্যান-১, সাইফুল ইসলাম প্যানেল চেয়ারম্যান-১ ও সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য শিরিন আক্তার প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। যা স্থানীয় সরকার বিভাগ অনুমোদন দেন। তবে ওই প্যানেল স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতে মামলা করে ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর স্থগিত আদেশ দেন জেলা সহকারী জজ। নাগরিক সেবা পেতে ভোগান্তিতে পড়েন ইউনিয়ন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। অবশেষে দুই পক্ষ আপোশ মিমাংসায় মামলা তুলে নেয়।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আসাদুল হক জুয়েল জানান, দীর্ঘদিন ধরে পরিষদ কার্যক্রম অচল হয়ে পড়ে ছিল। দুই পক্ষকে নিয়ে বসে সংকটের সমাধন করা হয়েছে। নির্বাচিত প্যানেল চেয়ারম্যান পরিষদ পরিচালনা করতে আর কোনো বাধা নেই।