বাউফল প্রতিবেদক: পটুয়াখালীর বাউফলে নাশকতা, অগ্নি সংযোগ, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিএনপির ৮জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ। রবিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাউফল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক জানান, সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার আসামীরা হলেন, পৌর বিএনপির সহসভাপতি মো. শাহজান মিয়া, সংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক, কাছিপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মোর্শেদ আলম, উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সদস্য সাইদুর রহমান জাফর, কনকদিয়া ইউনিয়ন যুবদলের কামরুজ্জামান, মান্নান হাওলাদার, আদাবাড়িয়ার নুর আলম বাদশা ও কালাইয়া ইউনিয়নের জিএম নউটন।
এদিকে ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে থেকে পুলিশ পিটিয়ে হত্যা, যানবাহনে আগুন, প্রধান বিচারপতির বাড়ি ও পুলিশ হাসপাতালের অগ্নি সংযোগের ঘটনার পর থেকে জড়িতদের গ্রেপ্তারের অভিযান শুরু করেছেন পুলিশ। ওই ঘটনার সাথে বাউফলের ছাড়া জড়িত এবং বিভিন্ন সময় নশকতার মামলার আসামী তাদের গ্রেপ্তার করছেন পুলিশ। এতে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে গ্রেপ্তার আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বিএনপির দলীয় সূত্র জানায়, সরকার পতনের শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে আওয়ামী লীগ ও পুলিশ নির্বিচারে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর গুলি করে সমাবেশ পণ্ড করে দেয়। এতে বাউফলের অনেক বিএনপি নেতা কর্মীরা গুলিবদ্ধ হয়েছেন। তারা চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঢাকার কর্মসূচি শেষ করে নেতাকর্মীরা বাউফল আসার পর থেকেই পুলিশ গায়েবী মামলা নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছেন। নেতাকর্মীদের হয়রানি করছেন। রাতভর বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছেন। এতে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বিএনপি নেতা জানান, পুলিশ তালিকা করে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের মিশনে নেমেছেন। প্রতি ইউনিয়ন থেকে এ তালিকা করতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা সহযোগিতা করছেন।
বাউফল পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ও পৌর কাউন্সিল মো. হুমায়ন কবির বলেন, সরকার পুলিশ বাহিনী ব্যবহার করে বিএনপি নিধনে নেমেছেন। গায়েবী মামলায় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছেন। হামলা মামলা করে বিএনপির আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। জনগণকে সাথে দিয়ে আগামী দিনে বাউফলে দুর্বর আন্দোলন করে গড়ে তোলা হবে। অচিরেই এ অবৈধ সরকারের পতন হবে।
নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাউফল উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজ বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যে উর্ধ্বগতি, সরকার দলীয় এমপি মন্ত্রী, আমলাদের দুর্নীতি, অর্থপাচারের কারনে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে। এ সরকারের পতনের জন্য মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন। তাই সরকার দিশেহারা হয়ে পুলিশ দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এটিএম আরিচুল হক বলেন, ‘কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। সুনিদিষ্ট অভিযোগ থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আতঙ্কের কিছু নেই। পুলিশ নিদোর্ষ কাউকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি করে না। করবেও না। যারা বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত তাদেরই গ্রেপ্তার করা হবে। অপরাধ দমনে এটা পুলিশের নিয়মিত অভিযান।’
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত