সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম বলে মন্তব্য করেছেন ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেছেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমরা সকলে একসঙ্গে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি।
আমাদের স্লোগান ছিল – ‘জাগো জাগো বাঙালি জাগো’, ‘বীর বাঙ্গালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’। কে হিন্দু, কে মুসলিম সেই ভেদাভেদ ছিল না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোলা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গ্রামগুলো আজ শহরে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি গ্রাম আজ আলোকিত, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আমরা পদ্মাসেতু তৈরি করেছি। কর্ণফুলী ট্যানেলের কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে চলেছি। আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবো। আওয়ামী লীগ সরকারের এসব উন্নয়ন বিএনপি দেখে না।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দুটি স্বপ্ন ছিল। এক – বাংলাদেশ স্বাধীন করা। দুই – ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
প্রথমটি জাতির জনক করে গেছেন। দ্বিতীয়টি করার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে উন্নিত হয়েছে।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, আজও আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখেছি। বিশেষ করে ভোলায় আমরা সকল ধর্মের মানুষ এক এবং অভিন্ন হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে অত্যন্ত শান্তিতে বসবাস করছি।
এছাড়া আমাদের ধর্মের দিক থেকে কেউ মুসলিম, কেউ হিন্দু। কিন্তু মনের দিক থেকে আমরা সকলে এক। আমাদের ঈদে হিন্দু ভাইরা আসেন। তাদের পূজায় আমরা যাই। আমাদের মাঝে কোন ভেদাভেদ নেই।
ভোলা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে এর সভাপতিত্বে তোফায়েল আহমদের ভোলার গাজীপুর রোডস্থ বাসভবনে এই মতবিনিময় সভায় বক্তাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল মমিন টুলু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, সদর উপজেলা ভাইরাস চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ, সদর উপজেলা পূজা পরিষদের সভাপতি মানস ঘোষ শান্ত প্রমুখ।