বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা রেস্ট্রিকশন ঘোষণায় আওয়ামী লীগ নাখোশ হলেও এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র শাস্তি দেওয়ার কে, পরিকল্পনা মন্ত্রী এমন প্রশ্ন করলেও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির প্রধান আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এই নীতি ক্ষমতাসীনদের ভোট কারচুপির বিরুদ্ধে বড় ধরনের ‘সিগন্যাল’।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দেশের নির্বাচনে কেউ অনিয়ম করলে বা বাধা দিলে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। নির্বাচন কমিশনে এই বিধান আছে। নির্বাচন কমিশন দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র শাস্তি দেওয়ার কে? সুতরাং এখানে ভয়ের কিছু নেই।
অন্যদিকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেছেন, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে, হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে, স্যাংশন দেওয়ার জন্য ৩ মার্চ ধার্য করেছে, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন না হলেও স্যাংশনের যে ইঙ্গিত দিয়েছে তারা, এটি যথাযথই করেছে। ভিসা থেকে শুরু যেসব বিষয় আমাদের সামনে এসেছে, এগুলো আমাদের জাতির জন্য অত্যন্ত অবমাননাকর ও লজ্জার। বর্তমান অবৈধ সরকারের কারণে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হচ্ছে।
তবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিষয়টিকে ভিন্নভাবে দেখে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির বিষয়ে আমরা একমত। তারা বলেছে নির্বাচনে বাধা দিলে ভিসা নয়। আমাদেরও এটা কথা, এই নির্বাচনে যারা বাধা দেবে তাদের অবশ্যই প্রতিহত করব। সরকার আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে চায়। এই নির্বাচনে যারা বাধা দিবে তাদেরকে অবশ্যই প্রতিহত করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে দলগুলোর পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের মধ্যেই মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আজ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করে বলে জানিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে এমন ব্যক্তিদের ভিসা সীমিত করার এই নতুন ভিসা নীতি সবার জন্য প্রযোজ্য।