সৌদি যুবরাজ ও প্রকৃত অর্থে উপসাগরীয় দেশটির শাসক মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, ‘গাজায় বেসামরিক মানুষের ওপর ইসরায়েলের আক্রমণ অত্যন্ত জঘন্য কাজ।’ একইসঙ্গে তিনি সতর্ক করে বলেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধ আরও বিস্তৃত হতে পারে। আর এতে দেখা দিতে পারে ‘বিপজ্জনক ফলাফল’।
সৌদি আরব সফররত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী রিয়াদ সফরের আগে ইসরায়েলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে গাজায় আরও মানবিক সহায়তার পথ করে দেওয়ার চাপ সৃষ্টি করেন। খবর এএফপির।
সৌদি প্রেস এজেন্সির উদ্ধৃতি দিয়ে ফরাসি বার্তা সংস্থাটি জানায়, বৈঠকে সৌদি যুবরাজ বলেন, তার দেশ গাজার নিরীহ সাধারণ মানুষের ওপর ইসরায়েলের হামলাকে ‘জঘন্য অপরাধ’ ও ‘নৃশংস আক্রমণ’ হিসেবে বিবেচনা করে। পাশাপাশি তিনি গাজার মানুষদের রক্ষায় কাজ শুরুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মোহাম্মদ বিন সালমান যুদ্ধের ভয়াবহতা কমিয়ে আনতে সম্ভাব্য সব ধরনের উদ্যোগের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। এ ছাড়া এই যুদ্ধের সহিংসতা বা বিপজ্জনক প্রতিক্রিয়া যাতে এই অঞ্চলসহ বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তায় কোনো প্রভাব না ফেলে সে লক্ষ্যে কাজ করার ওপর জোর দেন তিনি।
অন্যদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়, ঋষি সুনাক ও মোহাম্মদ বিন সালমান একমত পোষণ করেন, ইসরায়েল ও গাজায় গত দুই সপ্তাহের প্রাণহানির ঘটনা ভয়ঙ্কর।
বিবৃতিতে জানানো হয়, দুই নেতা গাজা শহরে পানি, খাবার ও ওষুধের মতো অত্যাবশ্যকীয় মানবিক সাহয্যের পণ্য সরবরাহ যাতে প্রবেশ করতে পারে, সেই বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছেন।
ঋষি সুনাক এ সময় বর্তমানে ও ভবিষ্যতে দীর্ঘ মেয়াদে এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা রক্ষায় সৌদি নেতাদের প্রতি তার আস্থার কথা যুবরাজকে জানান।
গত ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ব্যাপক হামলা চালায়, যাতে এক হাজার ৪০০ লোক নিহত হয়। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানান, নিহতদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক।
ইসরায়েল এরপর পাল্টা হামলা চালায় গাজা উপত্যকায়, যাতে তিন হাজার ৭০০ সাধারণ মানুষ নিহত হয়। এ ছাড়া ইসরায়েল বলেছে, হামাসের কাছ থেকে এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার সময় সংঘর্ষে এক হাজার ৫০০ হামাস যোদ্ধা নিহত হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত