কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি মো. রফিকুল ইসলামের ওপর হামলা ও তার বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় রাজনৈতিক মতবিরোধ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার বিষয়ে নিজের দলীয় কর্মসূচি পালন করলে প্রতিপক্ষ এ হামলা চালায়।
জানা যায়, বিএনপির অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদলের নেতা মো. রফিকুল ইসলাম সম্প্রতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার বিষয়ে এলাকায় সাধারণ মানুষের কাছে নিজের মতামত ও দলীয় কর্মসূচি তুলে ধরেন। তিনি আলোচনার একপর্যায়ে দেশের জনগণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় বলে জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ পরবর্তীতে তাকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজতে থাকেন এবং হুমকি দেন। পরে মো. রফিকুল ইসলাম তার নিজের বসতবাড়িতে আসলে সরকারদলীয় স্থানীয় একদল নেতাকর্মী তার ওপর বাঁশ-লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন। তিনি এতে বাধা দিলে পরে তার বাড়িতেও হামলা-ভাঙচুর করা হয়। একপর্যায়ে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্ধার করেন।
মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার দাবিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে গিয়ে হামলার শিকার হলেও একটি জিডি করতে পারিনি। সেদিন প্রতিবেশিরা এগিয়ে না এলে হয়তো খুন হয়ে যেতাম। লাশও হয়তোবা গুম হয়ে যেত। অথচ এমন ঘটনার পর স্থানীয় থানায় জিডি করতে গেলে উল্টো প্রতিপক্ষ আমাকে আরও মারধর এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। এছাড়া পুলিশ-প্রশাসনও সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের কথামতো চলে। এতে আরও ক্ষয়ক্ষতি এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কথা চিন্তা করে আইনী পদক্ষেপে যেতে পারিনি। দেশে মতপ্রকাশের বিন্দুমাত্র স্বাধীনতা আমাদের নেই। দেশের একজন সাধারণ নাগরিক এবং রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানো কি অন্যায়? এছাড়া আমি তো কোনো অপরাধ করিনি।
করিমগঞ্জ উপজেলা যুবদল সভাপতি এ্যাডভোকেট মোশারফ হুসেন বলেন, ২০০৮ সালের পর থেকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং সমর্থকরা বর্তমান সরকারের নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়ে আসছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একতরফা করতে সরকার এই নির্যাতনের মাত্রা ব্হুগুণ বাড়িয়েছে। এসব ঘটনা তারই বহিঃপ্রকাশ। তবে সরকার যতই চেষ্টা করুক, বিএনপি নেতাকর্মীদের মনোবল ভাঙতে পারবে না। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের আন্দোলন সফল করেই আমরা ঘরে ফিরব।
করিমগঞ্জ থানা সূত্র জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে যেকোন ধরনের সংঘাত বন্ধ ও নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখতে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। কোন ধরনের সংঘাতের অভিযোগ পেলে অবশ্যই খতিয়ে দেখে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।