এস এম সাইফুল ইসলাম কবির: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে চাকরি দেওয়ার নামে এক নারীকে আটকিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) পরিবারের পক্ষে বোন স্কুল শিক্ষকা মনোয়ারা খানম বিকেলে মোরেলগঞ্জ প্রেসক্লাবে এ সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, দুর্নীতির দায়ে চাকরিচ্যুত ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার কুচিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান মোল্লার ছেলে জেলা রেজিস্ট্রার মো. ফজলার রহমান সংবাদ সম্মেলন কারীর আপন বোনকে (জাহানারা আক্তার) ২০০৯ সনে সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে চাকরি দেওয়ার নামে তার বাসায় নিয়ে গৃহপরিচারিকার কাজ করাতে থাকে। এভাবে মো. ফজলার রহমান চাকরি দেওয়ার নামে নানা ছলচাতুরি ও কালক্ষেপণ করতে থাকে। পরে তার বোনকে বিয়ে করার আশ্বাসে বাড়িতে আটকিয়ে রেখে দিনের পর দিন জোরপূর্বক ধর্ষণ ও শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। চাকরি দেওয়ার নামে এভাবে প্রতারণা বুঝতে পেরে তার বোন নিরুপায় হয়ে ২০১৭ সনে পালিয়ে নিজের বাড়িতে চলে আসে। শিক্ষিকা মনোয়ারা খানম পারিবারিক আত্মসম্মান রক্ষার্থে বোনকে বিয়ে দিয়ে দেন। বিষয়টি প্রতারক ফজলার রহমান জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলায় জড়াতে থাকে।
মিথ্যা মামলা দায়েরের ধারাবাহিকতায় একটি সিআর মামলায় (নং- ২১০/২২) গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করালে তিনি ৫দিন হাজত বাস করেন। যার কারনে তিনি চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্থ হন। এতেও ক্ষান্ত না হয়ে একাধিক মিস কেস সিআর২০২/২৩,২৫৮/২০২৩,১০১/২০২৩,৯৩/২০২৩ ননজিয়ার ৯৭/২০২৩, বাগেরহাট মডেল থানায় মামলা নম্বর- ২৭/২৩) দায়ের করেন। প্রতারক ফজলার রহমান তার আপন ফুফাত ভাই নুরুজ্জামান মোল্লাকেও এসব মামলায় আসামি করে হয়রানি করে আসছে।
স্কুল শিক্ষকা মনোয়ারা খানম তার লিখিত বক্তব্যে আরও জানান, দুর্নীতির দায়ে চাকরিচ্যুত বাগেরহাট জেলা থেকে জেলা রেজিস্ট্রার প্রতারক ফজলার রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রার থাকা কালিন দুর্নীতির দায়ে ৬টি ও ফরিদপুর নিজ গ্রামে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে বাড়ি তৈরি করায় দুদকে ১টি মামলা হয়। তার বিরুদ্ধে মোট সাতটি মামলা চলমান রয়েছে।
এদিকে একের পর এক মামলা হয়রানির কারণে নাবালক সন্তান ও পরিবার নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মনোয়ারা খানম। তিনি এ প্রভাবশালী ফজলার রহমানের হাত থেকে রক্ষায় প্রশাসনের কাছে আইনি সহায়তা চান।
এসব অভিযোগের বিষয় চাকরিচ্যুত জেলা রেজিস্ট্রার মো. ফজলার রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে মুঠোফোনের সংযোগ কেটে দেন। পরবর্তীতে কিছু সময় পরে তার মুঠোফোনে আবারও যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত আছে বলে জানান।