দেশের আলেম সমাজ শেখ হাসিনার সাথে থাকবেন: আ.স.ম ফিরোজ

বাউফল প্রতিবেদক: সাবেক চীফ হুইপ ও সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতি আ.স.ম ফিরোজ এমপি বলেছেন, যারা মুখে মুখে ইসলামিক দল দাবি করে তারা কখনো ইসলামের জন্য কিছু করেনি। তারা শুধু ধর্মকে ব্যবহার করেছেন। ধর্মকে পূজি করে ফায়দা লুটে নিয়েছেন। যা বাংলার জনগণ বুঝে গেছেন। ধর্মপ্রাণ মানুষ বুঝে গেছে শেখ হাসিনার বিকল্প কেউ নেই। আগামী দিনে দেশের আলেম সমাজ শেখ হাসিনার সাথে থাকবেন বলে অঙ্গীকারবদ্ধ।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে পটুয়াখালীর বাউফলের কালাইয়া রব্বানিয়া কামিল মাদ্রাসার চারতলা ভিত বিশিষ্ট একাডেমিক ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন আ.স.ম ফিরোজ এমপি। ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারী, শিক্ষার্থী- অভিভাবকের সাথে এক মতবিনিয়ম সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আ.স.ম ফিরোজ এমপি। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামের কল্যাণে ব্যাপক কাজ করেছেন। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন, কাকরাইল মসজিদ, তাবলীগ জামাতের জন্য স্থানসহ ব্যাপক কাজ করেছেন। তারই সুযোগ কণ্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর মসজিদ, মাদ্রাসার উন্নয়নে কাজ শুরু করেন। দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণ করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। স্কুল কলেজ বিশ^বিদ্যালয়ের সাথে তালমিলিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। মাদ্রাসা গুলোতে বহুতল ভবন দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকার।

আ.স.ম ফিরোজ আরও বলেন, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদেরও এগিয়ে নিতে প্রতিটি মাদ্রাসায় শেখ রাসেল ল্যাব স্থাপন করেছেন সরকার। এসব ল্যাবে ল্যাপটপ ও বিজ্ঞানাগার রয়েছেন। শিক্ষকরা এসব ল্যাবে শিক্ষার্থীদের সময় দিয়ে দক্ষ জনবল গড়ে তুলবেন। যাতে আমাদের ছেলেরা বাড়িতে বসে আউটসোর্সিং করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারেন।

মাদ্রাসা গর্ভানিং বডির সভাপতি মো.মোসারেফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুশফিকুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আনিসুর রহমান, অধ্যক্ষ এস.এম আবদুল হাই, ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম ফয়সাল আহম্মেদ প্রমূখ।

জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ভবন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১কোটি ১৮লাখ টাকা। সোনালী এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে নির্মাণ চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ১বছরের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হবে।