ছাত্রলীগ নেতাদের শাহবাগ থানায় নিয়ে বেদম পেটানোর ঘটনায় এডিসি হারুনকে নিয়ে এখনও তোলপাড় চলছে প্রশাসন এবং সরকারের মধ্যে। তাকে ইতোমধ্যে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বদলি করা হয়েছে কয়েকবার। সর্বশেষ তাকে বদলি করা হয় রংপুর ডিআইজি অফিসে। এরমধ্যেই একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে খবর আসে এডিসি সানজিদাকেও বদলি করা হচ্ছে রংপুরে। এরপর থেকেই পুলিশের এই নারী কর্মকর্তাকে নিয়ে রসালো গল্প শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
সেদিনের ঘটনায় এডিসি হারুনকে যখন একের পর এক বদলি এবং সাময়িক বরখাস্ত করা হচ্ছিল তখন তার পক্ষ নিয়ে মুখ খোলেন এডিসি সানজিদা। তিনি এক ভিডিও সাক্ষাতকারে জানান, তার স্বামীই প্রথমে এডিসি হারুনকে মারধর করেছিল। এবং ছোট্ট বিষয় নিয়ে বাজে অবস্থা তৈরি করেছিল। এর আগে ডিএমপির ডিবি প্রধান হারুনও তার পক্ষ নেন। এরপর আরেক দফা বদলি করা হয় হারুনকে। এবার তাকে সংযুক্ত করা হয় রংপুর ডিআইজি অফিসে।
তবে ডিএমপি কমিশনার এক বক্তব্যে জানান এডিসি সানজিদা এ বিষয়ে অনুমতি ছাড়া কথা বলে থাকলে ঠিক করেননি। ডিবিপ্রধান হারুনও কোন তথ্যে কথা বলেছেন সেটাও তিনি জানেন না বলে মন্তব্য করেন। এরপর ডিএমপির মুখপাত্র ফারুক হোসেন জানান, এডিসি সানজিদার বদলির বিষয়টি জানা নেই। তার বদলির বিষয়ে এখনও কোনো অর্ডার হয়নি। ডিএমপি এখন পর্যন্ত বলছে, এ ঘটনায় সবকিছু তদন্ত করে যে-ই দোষী হোক না কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এজন্য কিছুটা সময় প্রয়োজন।
ত্রিভূজ প্রেম নিয়ে ছাত্রলীগ ও এডিসি হারুনকাণ্ডে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে রয়েছে সরকার এবং পুলিশ বাহিনী। একদিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও ফৌজদারি অপরাধে হারুনের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ক্ষোভ বিরাজ করছে ছাত্রলীগসহ সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে, অন্যদিকে প্রথমে এডিসির গায়ে হাত তোলায় পুলিশ বাহিনীর মধ্যেও এখন এ বিষয় নিয়ে কথা বলা শুরু হয়েছে। তবে জাতীয় নির্বাচনের আগে পুলিশের সাথে যেন কোনো ধরনের সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখেই সতর্কভাবে হাঁটছে সরকার।