স্ত্রী হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

25

আহমেদ শরীফ রনি: স্ত্রী হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জিয়া উদ্দিনকে (৪৩) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। সোমবার সকাল ৯টার দিকে জিয়া উদ্দিনকে ঢাকা মহানগরীর কদমতলী থানাধীন মেরাজনগর এলাকা থেকে র‌্যাব-১৪ এর স্কোয়াড্রন লিডার মো. আশরাফুর কবিরের নেতৃত্বে নারায়নগঞ্জ র‌্যাব-১১ এর সহায়তায় গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছেন।

গ্রেপ্তারকৃত আসামি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের আব্দুস সোবাহানের ছেলে। যৌতুকের জন্য তার স্ত্রী রেখা আক্তারকে দা দিয়ে গলায় আঘাত করে হত্যা করেন। ভুক্তভোগী কিশোরগঞ্জের তাড়াইল থানাধীন হাতকাজলা গ্রামের মো. হারেছ মিয়ার মেয়ে।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় র‌্যাব-১৪ (সিপিসি-২) এর কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মো. আশরাফুল কবির।

তিনি জানান, ২০০৬ সালের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে রেখা আক্তারের সাথে তার বাবার চাচাত ভাইয়ের ছেলে জিয়া উদ্দিনের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে জিয়া উদ্দিন যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারপিঠসহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। নির্যাতনের বিষয়টি ভুক্তভোগী তার মা-বাবাকে জানালে মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে বাড়ির পাশে ক্রয়কৃত জমিতে বাড়ি করে দেয়। কিন্তু তাতেও স্বামীর যৌতুকের চাহিদা মিটে নাই। আরও যৌতুকের টাকা পাওয়ার জন্য ভুক্তভোগীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনসহ খুন করার হুমকি দিতে থাকেন। বিভিন্ন সময়ে ভুক্তভোগী তার মা-বাবাকে বিষয়টি জানায়।

২০০৬ সালের ১৪ তারিখ রাত আনুমানিক ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার সময় জিয়া উদ্দিন তার নিজ বসত ঘরে দা দিয়ে স্ত্রীর গলায় পোচ মেরে নৃশংসভাবে হত্যা করে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা পরের দিন তাড়াইল থানায় মামলা করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে আসামির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণ হয়। আদালাত ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিন মৃত্যুদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

র‌্যাব আরও জানায়, সাজা থেকে বাঁচতে আসামি কিশোরগঞ্জ ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় তার নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে পালিয়ে বেড়ায়। গ্রেপ্তারকৃত জিয়া উদ্দিনকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মিঠামইন থানা পুলিশের কাছে প্রেরণ করা হয়।