ক্ষমা চাইলেন বিএনপি নেতা আলাল

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে করা কুরুচিকর বক্তব্যের বিষয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

ফেসবুকে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমি প্রিয় স্বদেশ ভূমি থেকে হাজার মাইল দূরে জীবন সংকটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছি। আমার শরীরে একটি গুরুতর সার্জারি হয়েছে। সংগত কারনেই সকল দুঃসংবাদ থেকে পরিবার আমাকে দূরে রেখেছে। তারপরও বিলম্বে আমি জেনেছি অতীতে আমার একটি বক্তব্য বেশ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

দীর্ঘ ৪৯ বছরের রাজনৈতিক জীবনে জ্ঞাতসারে কিংবা ইচ্ছাকৃত কারো সম্মান, অনুভূতি, বিশ্বাসে আঘাত করিনি। তবুও মানুষ হিসেবে আমিতো ভুলের ঊর্ধ্বে নই।

তাই বলছি কোন অসতর্ক মুহূর্তের কথা কিংবা বক্তব্যে যারা কষ্ট পেয়েছেন, আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন অনুভুতিতে, তাদের সকলের নিকট আমি ক্ষমাপ্রার্থী। একই সঙ্গে উক্ত বক্তব্য আমি প্রত্যাহার করছি। ভালো থাকুক আমার প্রিয় স্বদেশ, শান্তিপূর্ণ থাকুক বাংলাদেশ।’

এর আগে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যাকে নিয়ে অশালীন আচরণের পর এ নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সেই ধারাবাহিকতায় ডা. মুরাদকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। শাস্তি হিসেবে কেড়ে নেয়া হয় জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের পদও। শাস্তির ভয়ে দেশ ছেড়েও যান ডা. মুরাদ। তবে কানাডা-দুবাইয়ে ঢুকতে না পেরে শেষ পর্যন্ত ফেরত আসেন তিনি। ডা. মুরাদের শাস্তির পরই বিএনপি নেতা আলালের বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তিনিও ক্ষমা চাইলেন।