ছাত্রদের উপর মামলা-হামলা দিয়ে নির্যাতন চালালে আমরা রাজপথে প্রতিরোধ গড়ে তুলব। ছাত্রদের কিছু হলে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াব। অবিলম্বে ছাত্রদের হাফ পাসের দাবি মেনে নিতে হবে। ২০১৮ সালের ঐতিহাসিক কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগ এবং পুলিশকে আমাদের পেছনে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ছাত্রদের আন্দোলন দমন করতে পারেনি সরকার।
সরকার দীর্ঘদিন ধরে সরাকে ধরা জ্ঞান দান করছে। নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন প্রণয়ন নিয়ে সরকার তালবাহানা করছে। ২০১১ সালে মাত্র ৯ দিনের ব্যবধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইন বাতিল করে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করেছিল। তাহলে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আইন করতে এত সময় লাগবে কেন? ভিন্নমতের মানুষকে গুম, খুন, হত্যার মাধ্যমে সরকার দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সরকারি দলের নৌকার ভরাডুবিতে সরকার দিশেহারা হয়ে গেছে।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদ কর্তৃক দাবিতে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর এ কথা বলেন।
সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মো: রাশেদ খাঁন বলেন, বর্তমান সরকার মাফিয়াদের খপ্পরে পড়েছে। তাই একের পর এক গণ বিরোধী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থা এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই। পরিবহন সেক্টরের নিয়ন্ত্রণ এখন শাহজাহান খান, মশিউর রহমান রাঙ্গা এবং এনায়েত উল্লাহদের হাতে।
বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ফারুক হাসান বলেন, ছাত্রলীগ নামক একটি সন্ত্রাসী সংগঠন বাংলাদেশের ক্যাম্পাস গুলোতে হত্যার মিশনে নেমেছে।বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদকে এই ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগ এমন একটা সংগঠন যাদের নৌকা মার্কার প্রার্থী সদ্য ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে একজন হিজড়ার কাছে পরাজিত হয়েছে।
বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আতা উল্লাহর সঞ্চালনায় আয়োজিত এই সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার জিসান মহসীন, মশিউর রহমান, শাকিলুজ্জামান শাকিল, সাইফুল্লাহ হায়দার, সাদ্দাম হোসেন, গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ন সদস্য সচিব ফাতেমা তাসনিম, ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আবদুর রহমান প্রমুখ।