আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় পেছাল

দীর্ঘ দুই বছরের বিচার প্রক্রিয়া শেষে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ছিল আজ রোববার (২৮ নভেম্বর)। তবে এদিন রায় ঘোষণা হচ্ছে না। রায়ের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৮ ডিসেম্বর।

রোববার (২৮ নভেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান রায় পেছানোর এ আদেশ দেন।

আদালত জানিয়েছেন, উভয়পক্ষের যুক্তিতর্কের ভিত্তিতে রায় প্রস্তুতে আরও সময় প্রয়োজন।

রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারিত থাকায় ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক থাকা ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। তোলা হয় এজলাসেও।

এ মামলার তিন আসামি শুরু থেকে এখনো পলাতক রয়েছে।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার ইনর্চাজ, পুলিশের এসআই নিপেন বিশ্বাস বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।

গত ১৪ নভেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। এ মামলায় মোট ৪৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে, বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে পিটিয়ে হত্যা করা হয় শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। বারবার প্রাণ বাঁচানোর আকুতি জানালেও থামেনি পাষণ্ডরা। ৬ ঘণ্টা নির্যাতনের পর মারা গেলে হলের দোতলা ও নিচতলার মাঝামাঝি সিঁড়িতে ফেলে রাখা হয় আবরারের লাশ। সিসিটিভির ফুটেজে ধরা পড়ে এ দৃশ্য। শনাক্ত করা হয় আসামিদের।

ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক আদালতে জানান, মাথা, বুকসহ পুরো শরীরে হাতুড়ি, ক্রিকেট স্ট্যাম্প ও স্কিপিং রোপের নির্মম আঘাতের কারণেই মারা যান আবরার।

আলোচিত এ মামলায় আবরারের বাবাসহ ৪৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন আদালতে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ৮ জন। রাষ্ট্রপক্ষের দাবি- ২৫ আসামির অপরাধ প্রমাণ করতে পেরেছেন তারা। তাই আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছেন।

অপরদিকে আসমিপক্ষের আইনজীবীরা বলেছেন, রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। আসামিরা খালাস পাবেন বলে আশা করছেন তারা।