গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অনেক গুরুতর। তিনি কঠিন অবস্থায় আছেন। তাঁর মুখ ও পায়ুপথ দিয়ে রক্তপাত হচ্ছে। যেকোনো সময় তিনি চলে যেতে পারেন।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে বেগম খালেদা জিয়ার জামিনে মুক্তি ও সুচিকিৎসা বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এ কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়ার মুখ দিয়ে রক্তপাত হচ্ছে। পায়ুপথ দিয়ে রক্তপাত হয়েছে, ব্লাডপ্রেশার ভয়ানকভাবে ফল করেছে। আমি যখন গিয়েছে দেখলাম কালকেও উনাকে রক্ত দেওয়া হচ্ছিল। রক্ত দিয়ে তাঁকে কৃত্রিমভাবে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। আমি তাঁর চিকিৎসা সংক্রান্ত ফাইলের প্রতিটি লাইন পড়েছি।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া কয়দিন বাঁচবেন সেটা আমি বলতে পারব না। এটা বলতে পারি, তিনি ক্রান্তিকালে আছেন। তাঁকে হত্যা করা হচ্ছে। এই হত্যার জন্য আমাদের আইনমন্ত্রী হুকুমের আসামি হবেন। প্রধানমন্ত্রীও হুকুমের আসামি হবেন। খালেদা জিয়া কঠিন অবস্থায় আছেন, যেকোনো সময় চলে যেতে পারেন।
চিকিৎসা বিষয়ে তিনি বলেন, বিদেশে চিকিৎসা করার লোক আমি না। এই ক্ষেত্রে আমি মনে করি, দ্বিতীয় কোনো পথ নেই। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা এখানে হওয়ার উপায় নেই। তাঁকে বাইরে পাঠাতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব পাঠাতে হবে, আজ-কালের মধ্যেই। তা না হলে জাতি কলঙ্কিত হবে। এর জন্য দায়ী হবেন প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী এবং চার বিচারপতি।
এদিকে মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাতে গুলশানের এভারকেয়ার হাসপাতালে বেগম খালেদা জিয়াকে দেখে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এখন ভালো আছেন। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গিয়েছিল। বিপদের সম্ভাবনা দেখার পর চিকিৎসকেরা ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) রক্ত দিয়েছে। বিএনপির মহাসচিব বলেন, ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) এখন হাঁটাহাঁটি করছেন। তিনি অনেকটা ভালো আছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সদস্য অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ক শহিদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ।