আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বোঝানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গাজীপুর মহানগরের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।
মেয়র জাহাঙ্গীর আলম তাঁর আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ ফিরে পাওয়ার আকুতি জানিয়ে বলেন, ‘আমি কোনো অন্যায় করিনি, অপরাধ করিনি। আমি এ সাধারণ সম্পাদক পদ চাই না, বাকি জীবন আওয়ামী লীগের সাধারণ সদস্য ও সমর্থক হয়ে থাকতে চাই।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে সঠিক তথ্য গেলে আমি ন্যায় বিচার পেতাম। আমার ভুল হতে পারে, কিন্তু কোনো অন্যায় বা পাপের সঙ্গে আমি জড়িত না।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও গাজীপুর নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করার পর শনিবার সকালে ছয়দানা এলাকায় তাঁর নিজ বাড়িতে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ‘আমার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আংশিক তথ্য দেওয়া হয়েছে, পূর্ণাঙ্গ তথ্য দেয়া হয়নি। আমি আওয়ামী লীগের কাছে সময় চেয়েছিলাম আমার কথা বলার জন্য। আমি যদি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে কথাগুলো বলতে পারতাম তাহলে তিনি সঠিক বিষয়টা জানতে পারতেন।’
তিনি বলেন, মেয়র হিসেবে আমি আমার নিজের কাজটা করেছি। আমাকে বহিষ্কার করে আমার এবং আমার পরিবারের অস্তিত্বে মাঝে আঘাত দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টা আমি মানসিকভাবে মেনে নিতে পারছি না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন করি, আমার ভুল হতে পারে। ভুলের জন্য ক্ষমা চাই।’ প্রধানমন্ত্রী যেন আমাকে পুনরায় বিবেচনা করেন।
আমাকে বহিষ্কার করে আমার, আমার পরিবারের এবং আমার অস্তিত্বের মধ্যে যে আঘাত দেয়া হয়েছে সেটা আমি মানসিকভাবে মেনে নিতে পারছিনা। আমার ভুল হতে পারে, কিন্তু আমি কোনো পাপ ও অন্যায়ের সাথে জড়িত না। মানুষের ভুল হয়।
এসময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়লে উপস্থিত দলীয় নেতা-কর্মীরাও কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে এখানে একটি হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
নানান অভিযোগ উঠায় শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে এবং আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এসময় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।