সম্প্রতি সরকারি পাঁচ ব্যাংকের প্রশ্ন আহসানিয়া মিশনের প্রিন্টিং প্রেস থেকে ফাঁস হয়েছে। আশুলিয়ায় অবস্থিত প্রেসটির নিরাপত্তা ও নজরদারির অভাবের সুযোগ নিয়েছে প্রশ্নফাঁস চক্র। আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনিশিয়ান মুক্তারুজ্জামান ও ল্যাব সহকারি পারভেজ মিয়ার পরিকল্পনায় প্রশ্নপত্র ফাঁস করতেন প্রেসের কাটিংম্যান রবিউল ও পিয়ন দেলোয়ার।
একটি বেসরকারি টেলিভিশনের অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে এ চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইতোমধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
জানাগেছে, পিয়ন দেলোয়ারের অনুরোধে টেকনিশিয়ান মুক্তারুজ্জামান ও পারভেজ মিয়াকে পরীক্ষার দু’দিন আগে প্রশ্নপত্র দেন রবিউল। চুক্তি হয় লাখ টাকায়।
প্রেসের কাটিংম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, ‘পিয়ন দেলোয়ার পারভেজ ও মুক্তারকে দেখিয়ে বলে তারা আমার ছোট ভাই তারা কি বলে একটু শুনেন। পরে তারা বলে ভাই আপনাকে আমরা কিছু টাকা দেব, খুশি করব, আপনি দয়া করে একবার আমাদের কথা শোনেন। এ সময় তারা বলল আমাকে এক লাখ টাকা দেবে।’
আহসানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব সহকারী পারভেজ মিয়া বলেন, ‘আমি যদি সত্যি কথা বলি তাহলে এটা পুরোপুরি মুক্তার ভাইয়ের দোষ।’
এ বিষয়ে আহসানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফজলে ইলাহী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটাতো কোনো ক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের একাডেমির ক্ষেত্রে এটা তো চিন্তারও বাইরে। কিন্তু প্রেস যে অবস্থায় আছে এবং আমি যা শুনছি সেখানে এ জাতীয় কাজ করা সম্ভব। যেটা একেবারে অবাঞ্ছিত ও অগ্রহণযোগ্য।’
গ্রেপ্তার ৩ জনই আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। বেরিয়ে এসেছে আরও অনেক রাঘব-বোয়ালের নাম।