বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় লজ্জা ও দুঃখ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। তবে সংগঠনের গঠনতন্ত্রের বাইরে ব্যক্তিগত কোনো কিছুর দায় সংগঠন নেবে না।
একইসঙ্গে সংগঠনের ভেতরে অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে নজারদারী অব্যাহত রয়েছে বলেও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আবরার হত্যাকাণ্ডের পর ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের কথা নতুন করে আলোচনায় আসার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে প্রেস ব্রিফিং করে ছাত্রলীগ।
এসময় ছাত্ররাজনীতি বন্ধের বিপক্ষে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
এছাড়া ওই সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।
তিনি বলেন: হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে ছাত্রলীগ প্রশ্রয় দেয়নি। পলাতক বাকিদের খুঁজে বের করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান তিনি।
লেখক ভট্টাচার্য বলেন: এ হত্যাকাণ্ডে হল প্রশাসনের গাফিলতি ছিল। বুয়েটসহ যেকোন ক্যাম্পাসে এটা সাংগঠনিক সমস্যা নয়, ব্যক্তির সমস্যা।
এসময় এজাহারভুক্ত ১৯ জনের বাইরেরও যদি কেউ থাকে তাদেরকেও গ্রেপ্তারের দাবি জানান জয়।
আবরার ফাহাদ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
গত ৬ অক্টোবর সন্ধ্যার পরে তাকে রুম থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছে তার সহপাঠীরা। এরপরে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয়তলা থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আবরার ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন, ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া।
আবরার হত্যাকাণ্ডে হলের সিসিটিভি ফুটেজসহ ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় ছাত্রলীগ বুয়েট শাখার ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।