বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) যে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক হচ্ছে না, সেটি গত মাসেই বিসিবি সভাপতি জানিয়ে দিয়েছেন। বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান জানিয়েছেন, নির্ধারিত তারিখে বিপিএল শুরু হওয়া নিয়ে আছে সংশয়।
বিসিবির সঙ্গে আগের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর চার বছরের চুক্তি শেষ হলে গত আগস্টে ধাপে ধাপে প্রতিটি দলের স্বত্বাধিকারীদের সঙ্গে বসে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি নিজেদের মতামত জানার পর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান ঘোষণা দেন, এ বছর অন্তত ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজন সম্ভব নয়। তাঁরাই চালাবে বিপিএলের প্রত্যেকটি দল। বিসিবির ভাবনাটা হচ্ছে, ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক না হলেও পৃষ্ঠপোষক নিয়ে আয়োজন করা হবে টুর্নামেন্ট।
বিপিএলের সাতটি দলের জন্য পৃষ্ঠপোষক চেয়ে বিজ্ঞাপনও দিয়েছিল বিসিবি। পাঁচ-ছয়টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দলগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানা গেছে। আগের ঘোষণা অনুযায়ী বিপিএল যদি ৬ ডিসেম্বর শুরু হয়, মাঝের দুই মাসে টুর্নামেন্ট আয়োজনের বাকি প্রস্তুতি শেষ করতে পারবে বিসিবি?
এ প্রশ্নে বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান ও বিপিএল টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস সংশয় প্রকাশ করলেন, ‘এখনো ৬ ডিসেম্বর তারিখই রেখেছি। তবে এখনই বলতে পারছি না। তবে যেহেতু দেরি হয়ে যাচ্ছে, আরও কত দেরি হতে পারে, এখনই বলা মুশকিল। নির্ধারিত তারিখে শুরু হবে কিনা আমারও সন্দেহ আছে! অনেক কিছুই এখনো শেষ হয়নি। এসব শেষ করে টুর্নামেন্ট শুরুর তারিখ ঘোষণা হতে পারে।’
টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রস্তুতিতে কেন দেরি হচ্ছে, সেটির কিছু ব্যাখ্যা দিয়েছেন জালাল ইউনুস, ‘যেহেতু এটা নতুন একটা ফরম্যাটে টুর্নামেন্ট আয়োজন করার কথা। গতবার ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ছিল। এবার স্পনসর পার্টনার নিয়ে টুর্নামেন্টটা হবে। এ কারণে অনেক কিছু পরিবর্তন করতে হচ্ছে। আমরা যে পৃষ্ঠপোষক চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলাম, সেখানে পাঁচ-ছয়জন আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এখানে অনেক পরিবর্তন আসবে। পৃষ্ঠপোষকদের সঙ্গে বসতে হবে। তাদের সঙ্গে বসার আগে আমাদের একবার বসতে হবে। সময় বেশি নেই। এ মাসের মাঝামাঝি ফরম্যাট ড্রাফট হওয়ার কথা ছিল। ফরম্যাট হওয়ার পরই ড্রাফট হওয়ার কথা। খুব শিগগির আশা করছি সবকিছু হয়ে যাবে। বিসিবি সভাপতির সঙ্গে মিটিং শেষে ড্রাফটের ঘোষণা দেব।’