কূটনীতিক হারুনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার

অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা, বিগত সরকারের পক্ষ নেওয়াসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে ঢাকায় না ফেরায় মরক্কোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হারুন আল রশিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের সমালোচনা বিশেষ করে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈধ সরকারকে উৎখাত করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষমতা দখলের অভিযোগ, মরোক্কোয় রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব ছেড়ে ঢাকায় না ফিরে কানাডায় পালিয়ে যাওয়াসহ কয়েকটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে খুব শিগগিরই কূটনীতিক হারুন আল রশিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।

ঢাকার কূটনৈতিক সূত্র বলছে, আজ শুক্রবারের মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কূটনীতিক হারুন আল রশিদের বিরুদ্ধে সরকারের শাস্তিমূলক পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে কূটনীতিক হারুন আল রশিদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেবে সরকার সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বিগত সরকারের সময়ে কানাডায় উপ হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালনের পর ২০তম বিসিএসের পররাষ্ট্র ক্যাডারের কর্মকর্তা হারুনকে মরক্কোতে রাষ্ট্রদূত করা হয়। গত বছর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় বিগত সরকারের সরকারের পক্ষে শক্ত অবস্থান নেন তিনি। পাশাপাশি শেখ পরিবার নিয়ে বই লিখেছেন এই কূটনীতিক। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এসব ঘটনায় বিপাকে পড়েন তিনি।

এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বছর রাষ্ট্রদূত হারুন আল রশিদকে ঢাকায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফিরতে বলেছে সরকার। তবে তিনি ঢাকায় না ফিরে কানাডায় পালিয়ে গেছেন বলে শোনা যাচ্ছে।

২০০১ সালে ফরেন সার্ভিসে যোগ দেওয়া হারুন এর আগে রোম, কায়রো, মেক্সিকো সিটি ও মাদ্রিদে বিভিন্ন কূটনৈতিক দায়িত্বে ছিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন পদ সামলানোর ধারাবাহিকতায় জনকূটনীতি অনুবিভাগে মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালনের সময় অটোয়া মিশনে পাঠানো হয় তাকে।

এদিকে, শুক্রবার নিজের ফেসবুকে ইংরেজিতে বেশ বড় একটি পোস্ট করেছেন কূটনীতিক হারুন আল রশিদ। সেই পোস্টে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈধ সরকারকে উৎখাত করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষমতা দখলের অভিযোগ করেছেন।