ছাত্রদল নেতাকে পাঁচ বছরেও এলাকায় না ঢুকতে দেয়ার হুমকি

পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা ছাত্রদলের এক নেতাকে মুঠোফোনে হুমকি-ধামকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে লুটপাট চাঁদাবাজির দায়ে অব্যাহতি পাওয়া বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে। সোমবার (১০মার্চ) এ সংক্রান্ত একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

বাউফল উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য এস এম বাবলুকে মুঠোফোনে হুমকি-ধামকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে নাজিরপুর-তাঁতেরকাঠি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন খানের বিরুদ্ধে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল কল রেকর্ডে শোনা যায়, অভিযুক্ত এনায়েত ছাত্রদল নেতা বাবলুকে বলছেন- তুই অভিনন্দন জানাইছো কারে? বাবলু উত্তর দিতে গেলেই আবার এনায়েত বলছেন,
খান*কি*পো তোর নাজিরপুর আওয়ার ক্ষমতা আছে? তুই ৫ বছরে নাজিরপুর আইতে পারলে আমার নাম ফিরাইয়া থুমু। তোরেতো ভাগেই পাইবে না কেউ, যে যে অভিনন্দন দিছে ওই ….পোলারা একটাও এলাকায় আইতে পারবে না। তুই যেইহানে আছো তোরে ধইরা বুড়িগঙ্গায় ফালাইয়া দিলে তোর কি হইবে? এসব হুমকির মাঝে একাধিকবার অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন অভিযুক্ত এনায়েত।

বাউফল উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য এস এম বাবলু বলেন, গতকাল (০৯মার্চ) এনায়েত হোসেনকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করে রমিজ হাওলাদারকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। দলীয় কর্মী হিসেবে আমি নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদককে অভিনন্দন জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করি। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ফোনে আমাকে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে হত্যার হুমকি দেন। দলীয় নেতাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে, তাদের সাথে আলোচনা করে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সম্প্রতি চাঁদা দেয়ায় কৃষকের তরমুজ লুটের ঘটনার মামলায় আসামি হয়ে পলাতক আছেন অভিযুক্ত এনায়েত হোসেন খান। তার মুঠোফোন নাম্বারও বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তার মন্তব্য জানা যায়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজ বলেন, এর আগেও লুটতরাজের অভিযোগে তাকে (এনায়েত) লিখিতভাবে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা শুনেননি। আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি ও তার দুই ছেলে। জেলা কমিটির নির্দেশে লুটতরাজ চাঁদাবাজির অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। মুঠোফোন রেকর্ড শুনেছি, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।