
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী এক নারী ডাক্তার তার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ফারাহ ফেরদৌস নামের ওই নারী ডাক্তার প্রতিবাদলিপিতে বলেছেন, কোন ধরনের অনিয়ম বা দুর্নীতির সাথে তাকে জড়াতে না পেরে একটি কুচক্রি মহল নীতি-নৈতিকতার জলাঞ্জলি দিয়ে নারীর প্রতি আদিম যৌনতার অপবাদ দেওয়ার ঘৃণ্য চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে।
প্রতিবাদলিপিতে নারী ডাক্তার বলেন, একজন সিনিয়র ডাক্তারের বিরুদ্ধে একটি অখ্যাত পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। সেই অভিযোগের বিষয়ে তিনিই ভালো বলতে পারবেন। তবে কোন ধরনের প্রমাণ ব্যতীত আমাকে জড়িয়ে যে কল্পিত প্রেমকাহিনীর বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তা সাংবাদিকতার নীতিবিরুদ্ধ। এই অপসাংবাদিকতার ফলে একজন নারী হিসেবে আমি পেশাগত ও সামাজিকভাবেও হেনস্তার শিকার এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
ডা. ফারাহ ফেরদৌস বলেন, একটি কুচক্রি মহল পেশাগত কারণে দীর্ঘদিন ধরেই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। ইতিপূর্বেও তারা বিভিন্ন ধরনের কূটচাল করেছে। তবে কোনভাবেই আমার অনিয়ম বা অন্য কোন ধরনের দুর্বলতা পায়নি। এখন তারা আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকার কথিত সাংবাদিকদের দিয়ে চরিত্র হননের ঘৃণ্য চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। কোন কুচক্রি মহল কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেই ন্যূনতম প্রমাণ ব্যতীত যারা একজন নারীর বিরুদ্ধে এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ করে দেয়, তারা কোনভাবেই সাংবাদিক নয়। কারণ, সাংবাদিকতাকে আমরা একটি মহান পেশা বলেই মনে করি। কোন ধরনের প্রমাণ ছাড়াই জেন্ডার সেন্সিটিভ ইস্যুতে মূলধারার সাংবাদিকরা কখনোই এ ধরনের অপেশাদার আচরণ করেন না। এ বিষয়ে সুরাহা না পেলে আমি যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করব।
তিনি বলেন, ওই রিপোর্টে পরকীয়ার কথা উল্লেখ করা হলেও তারা কোন ধরনের ন্যূনতম প্রমাণ দিতে পারেনি। এ যেন এক ‘ঠাকুমার ঝুলি’র মতো গল্পের পসরা নিয়ে বসেছিলেন ওই কথিত প্রতিবেদক। যে ডাক্তারের সাথে জড়িয়ে এসব নোংরামির সাথে আমার নাম জড়ানো হয়েছে, তার সাথে পেশাগত কাজ ব্যতীত আমার অন্য কোন সম্পর্ক নেই। কল্পিত প্রতিবেদনের কথিত প্রেমকাহিনীর সবকিছু সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
ডা. ফারাহ ফেরদৌস বলেন, একই সংবাদ একাধিক দিন প্রকাশ করা হয়েছে। এটা সাংবাদিকতার প্রচলিত নিয়মের বিরোধী। আর্থিকভাবে সুবিধা নেওয়া ছাড়া এটির আর কোন উদ্দেশ্য নেই। মূলধারার গণমাধ্যম কখনোই হুবহু একই সংবাদ একাধিক দিন প্রকাশ করে না। আর্থিক সুবিধা না পেয়ে ভুলভাল বানানে অখ্যাত ওই সাংবাদিকরা এই অপেশাদার আচরণ করেছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি ওই সাংবাদিকদের এ ধরনের কুচক্রি মহলের প্ররোচনা থেকে বের হয়ে এসে পেশাদার সাংবাদিকতা করার আহ্বান জানান। এর ব্যত্যয় হলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ডা. ফারাহ ফেরদৌস।