পটুয়াখালীর বাউফলে কহিনুর বেগম (৬০) নামের এক বৃদ্ধা নারীকে মারধরের ঘটনার তিন দিন অতিবাহিত হলেও থানা পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ওই নারীকে মারধরের সময়ের ২২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভুক্তভোগী জানান, মদনপুরা ইউনিয়নের মৃধা বাড়িতে স্বামীর ঘরে একা বসবাস করেন তিনি। সন্তানরা ঢাকায় চাকরি করেন। গত রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে তার দেবর সাহাবুদ্দিন মৃধা ও দেবরের পরিবারের সদস্যরা কহিনুর বেগমের ঘরে ঢুকে তাকে মারধর করে এবং বিভিন্ন আসবাব ভাংচুর করে। জমিজমা নিয়ে তার স্বামীর সাথে সাহাবুদ্দিনের বিরেধকে কেন্দ্র করে তাকে মারধর করা হয়েছে। পরে স্থানীয় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় তিনজনকে আসামী করে বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগী বৃদ্ধার ছেলে তুষার মৃধা অভিযোগ করে বলেন, সাহাবুদ্দিন মৃধা আগেও আমার মাকে মারধর করেছিলো। তখন স্থানীয় ভাবে বিষয়টা মীমাংসা করেন। এবারে তিনি সীমা লঙ্ঘন করেছেন। তারা অনেকে মিলে আমার মাকে একা পেয়ে অনেক মারধর করে। ঘটনার দিনই আমার মা বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। একদিন কালক্ষেপণ করে মঙ্গলবার পুলিশ বাড়িতে আসেন। প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীদের থেকেও ঘটনার সত্যতা জেনেছে পুলিশ। কিন্তু ধারা নেই বলে আমাকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন থানার ওসি৷ আমি থানার মাধ্যমেই সঠিক বিচারের দাবি করছি৷
ভুক্তভোগীর ভাই সরোয়ার হোসেন বলেন, অভিযুক্ত সাহাবুদ্দিন মৃধা দেশের প্রভাবশালী একজন শিল্পপতির আত্মীয় হওয়ায় আমরা সুবিচার পাচ্ছি না। ওই প্রভাবশালী স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
অভিযোগের সরেজমিন তদন্তে মারধর করার সত্যতা পেয়েছেন জানিয়ে থানার এসআই শাহিন বলেন, মামলা নেয়ার ক্ষমতা উর্ধতন অফিসারদের।
আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এখনো মামলা হয়নি বলে জানান তিনি।’
পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমাদ মাঈনুল হাসান বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তাই না জেনে মন্তব্য করবেন না বলেন তিনি।