শ্রীলংকা সফর নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হওয়ায় জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা অনুশীলনে তিন দিন বিশ্রাম পাচ্ছেন। এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ট্যুর সম্পর্কে একটা পরিষ্কার চিত্র পাবে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে জাতীয় দলের প্রাথমিক স্কোয়াডে ডাক পাওয়া ২৭ ক্রিকেটারের স্কিল অনুশীলন শুরু হয়েছিলো। খেলোয়াড়দের স্কিল অনুশীলনে বিরতি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
তবে অনুশীলন না থাকলেও পরিবারের কাছে যেতে পারবেনা কোন ক্রিকেটার। এ তিন দিন জৈব সুরক্ষা পরিবেশে তাদেরকে হোটেলেই থাকতে হবে।
শনি ও রোববার শ্রীলংকায় সরকারি ছুটি হওয়ায়, সফর নিয়ে আগামী সোম বা মঙ্গলবার চূড়ান্ত সিদ্বান্ত জানার আশা করছে বিসিবি।
গত বৃহস্পতিবার রাতে এসএলসির প্রধান নির্বাহি অ্যাশলে ডি সিলভা স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানান, কোভিড নির্দেশিকা যদি বিসিবি মানতে রাজি না হয় তাহলে এব ছর সিরিজটি আমাদের স্থগিত করতে হবে। তবে আগামী বছর বা পরের বছর সিরিজটি আয়োজনের চিন্তা করবো।
কিন্তু এ বিষয়ে লিখিত চিঠি বা ইমেইল চাইছে বিসিবি। পরবর্তীতে এ বিষয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানাবে বিসিবি বলে জানান আকরাম।
তিনি বলেন, ‘আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কোন চিঠি ও মেইল এখনো পাইনি। আনুষ্ঠানিকভাবে কোন কিছু না আসলে, বাইরে কী হচ্ছে, সে সর্ম্পকে আমি কিছুই বলতে পারবো না।’
আকরাম আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, শ্রীলংকাও এ সফর নিয়ে আশাবাদি। শনি ও রোববার শ্রীলংকায় সরকারি ছুটি হওয়ায়, সফর নিয়ে আগামী সোম বা মঙ্গলবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে পারে শ্রীলংকা।’
‘যাই হোক না কেন, আমরা আগামীকাল শ্রীলংকায় যাচ্ছি না। যদি সবকিছু ইতিবাচক থাকে তবে আমরা আগামি মাসের ৭-১০ তারিখের মধ্যে শ্রীলংকায় যেতে পারি।’
যদি কোন কারণে সফর না হয়, তবে বাংলাদেশ বিকল্প পরিকল্পনা ভেবে রেখেছে বলে জানান আকরাম। তিনি বলেন, ‘যদি সফর না হয়, আমাদের সভাপতি বলেছেন, আমরা ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করবো। আমরা বিকল্প পরিকল্পনা করবো। আমরা যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে প্রস্তুত এবং এটি নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। কারন সফর না হলে আমাদের কি করতে হবে, সে সম্পর্কে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে।’