ঢাকার বাতাস আজও অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় এক ধাপ নিচে নেমে এলেও, কুয়াশার সঙ্গে বাতাসের এই দূষণ সুস্থ মানুষের জন্যও অনেক ক্ষতিকর। আজ সকালে ঢাকার বায়ুমান রেকর্ড করা হয়েছে ২০৫, এবং তালিকায় দেশের তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
বায়ুদূষণের তালিকায় সবার উপরে রয়েছে ভারতের দিল্লি। কোনো শহরের বায়ুমান ৩০০ হলে, সেখানকার বাতাস দুর্যোগপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়। আজ দিল্লির বায়ুমানও ৩০০ পেরিয়েছে।
বায়ুদূষণের দিক থেকে বরাবরই শীর্ষ শহরের তালিকায় থাকা পাকিস্তানের লাহোর আজ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এছাড়া শীর্ষ পাঁচ শহরের মধ্যে রয়েছে ঘানার আক্রা এবং পাকিস্তানের করাচি।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার হিসাবে শহরগুলোর বাতাসের এ অবস্থা ছিল। বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) দিয়ে বায়ুদূষণের মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকায় বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই (পিএম ২.৫) দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে তাকে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
সে হিসেবে দূষণের মাত্রার দিক থেকে ঢাকার বাতাস গত দুই দিনের মতো আজও খুব অস্বাস্থ্যকর। কিছুটা দূষণ বাড়লেই এটি দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছে যাবে।
দূষণের তালিকায় দুইয়ে থাকা লাহোরের বায়ুমান পরিমাপ করা হয়েছে ২৬৬। চতুর্থ অবস্থানে থাকা আক্রার বায়ুমান ২০৩ আর পাঁচে থাকা করাচির বায়ুমান ১৯৪।
বায়ুমানের দিক থেকে দূষিত শহরের তালিকায় ছয় থেকে দশে থাকা শহরগুলো হলো, আফগানিস্তানের কাবুল, ইরাকের বাগদাদ, ভিয়েতনামের হ্যানয়, ভারতের মুম্বাই এবং ইরানের তেহরান।