রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে সহায়তা করবে পূর্ব তিমুর: ড. ইউনূস

রোহিঙ্গা ইস্যু বাংলাদেশের একটি বড় সংকট। দীর্ঘদিন ধরেই এ সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ। এবার এ সংকট সমাধানে সহায়তা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা।

রোববার নিজ কার্যালয়ে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কিছুদিনের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনসের (আসিয়ান) সদস্য হবে পূর্ব তিমুর। রোহিঙ্গা সংকট সমাধান কীভাবে করা যায়, সে বিষয়ে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট এরই মধ্যে বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের তার দেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। দুই দেশের মধ্যে তৈরি হওয়া সম্পর্ককে আরো বৃদ্ধির জন্য উৎসাহিত করেছেন। বাংলাদেশ তিমুরের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা এই সম্পর্ক অব্যাহত রাখব।

বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য তিমুর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস-হোর্তাকে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান ড. ইউনূস।

এর আগে, শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চার দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রোববার সকালে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল জোসে রামোস হোর্তাকে গার্ড অব অনার দেয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন।

সোমবার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিমুর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা। এরপর পূর্ব তিমুর ও বাংলাদেশের ডিপ্লোম্যাটিক ও অফিশিয়াল পাসপোর্ট হোল্ডারদের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি এবং দ্বিপাক্ষিক পরামর্শ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।