ঠাকুগাঁও জেলার রাণীশংকৈলে সাপের কামড়ে মৃত কিশোরীকে বাঁচিয়ে তুলতে ঘন্টার পর ঘন্টা এক ওঝা তদবীর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। উপজেলার ডাইবেটিস মোড় সুন্দরপুর গ্রামে গতকাল (বৃহস্পতিবার) এই ঘটনা ঘটে। নিহত সালমা (১৩) একই গ্রামের আব্দুস সালামের মেয়ে।
জানা যায়, গত বুধবার (১৯ আগস্ট) রাতে সালমা সাপে কামড়ায়। সাথে সাথে সালমার চিৎকার শুনে বা-মা জেগে ওঠে গিয়ে দেখেন একটি সাপ পালিয়ে যাচ্ছে। এর পরপরই সালমাকে স্থানীয়েক ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কোনো কাজ না হওয়ায় একে একে দুইজন ওঝা বদলে পরদিন (বৃহস্পতিবার) দুপুরে স্থানীয় হাজী ক্লিনিকে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার সালমাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এরপর পাশের যাদুরানী এলাকার এক ওঝা এসে দাবী করেন সালমাকে সাপ বেশে দেবতা কামড় দিয়েছে। তাকে জীবিত করার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা চালাতে থাকেন তৎপরতা। শত শত মানুষের সামনে ওই কিশোরীকে সুস্থ করতে না পেরে একসময় পালিয়ে যান ওই ওঝা। পরে রাত ১০ টার দিকে সালমাকে দাফন করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে থানার সাব ইন্সপেক্টর আহসান হাবীব জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় ও পারিবারিকভাবে জানতে পেরেছি মেয়েটির সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে।