৬ মাসের মধ্যে ফিটনেসবিহীন যানবাহন রাস্তা থেকে অপসারণ: সড়ক উপদেষ্টা

আগামী ছয় মাসের মধ্যে ২০-২৫ বছরের পুরোনো ও ফিটনেসবিহীন বাস, মিনিবাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান সহ প্রভৃতি মোটরযান রাস্তা থেকে অপসারণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

ঢাকার আব্দুল গনি রোডে অবস্থিত বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত “ঢাকা শহরের বায়ু দূষণ ও শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে পুরাতন যানবাহন অপসারণ ও যানজট নিরসন” সংক্রান্ত আলোচনা সভায় সড়ক ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এ মন্তব্য করেন। সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান উপস্থিত ছিলেন।

জুলাই মাসে সংঘটিত ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে সড়ক ও সেতু উপদেষ্টা বলেন, জনদুর্ভোগ লাঘব ও দেশের মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে আনাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ করা অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান লক্ষ্য। এরই অংশ হিসেবে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সড়ক উপদেষ্টা ভবিষ্যতে ইলেকট্রনিক ভেহিকেল চালু করার ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সুযোগ নিতে বলেন এবং এজন্য সহজ শর্তে ব্যবসায়ীদের ঋণ প্রদানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সাথেও আলোচনা করবেন বলে জানান উপদেষ্টা।

ঢাকা শহরকে একটি নিরাপদ নগরীতে পরিণত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে সড়ক উপদেষ্টা বলেন বিআরটিএ, জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ নিয়মিতভাবে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস চেক করবে। একই সাথে পরিবেশ দূষণ ও যানজট নিরসনে আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন থাকতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ঢাকাকে দূষণমুক্ত ও বাসযোগ্য নগরীতে পরিণত করার অঙ্গীকার করে আলোচনা সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব পালনের জন্যই ক্ষমতায় আছেন এবং ঢাকা শহরের দীর্ঘদিনের এ সমস্যা বাস্তবতার নিরিখে সমাধান করতে হবে। এছাড়াও সড়ক সংক্রান্ত আইন ও বিধি-বিধান জানা এবং মেনে চলা, ড্রাইভারদেরকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি এ ব্যাপারে পরিবহন মালিক, শ্রমিক, পথচারী, যাত্রী নির্বিশেষে সকলকে সচেতন হবার আহ্বান জানান তিনি।

সড়ক ও সেতু উপদেষ্টা ভবিষ্যতে এ ধরনের আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করে সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন। আলোচনা সভায় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ, ছাত্র জনতার প্রতিনিধিবৃন্দ, পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।