পানিবন্দি ঠাকুরগাঁওয়ের ৫ শতাধিক পরিবার

ঠাকুরগাঁওয়ে টানা দুইদিনের ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে পৌর এলাকার দেড় শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ড্রেনেজ ব্যবস্থা নাজুক হওয়ার কারণে পৌরবাসীকে পানিবন্দি হতে হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।

সোমবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।

দুই দিনের ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে পৌর এলাকার , সরকারপাড়া,পূর্ব গোয়ালপাড়া, বসিরপাড়া, শান্তিনগর, মিলননগর, শাহপাড়া, রোড ও কলেজপাড়া এলাকার ১৫০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

পানিবন্দি এসব পরিবারদের মাঝে উপজেলা প্রশাসন ত্রাণসহায়তা পৌঁছে দিয়েছে।

সরকারপাড়া এলাকার গোলাম ফারুক বলেন, ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিস্কার না করার কারণে বৃষ্টির পানি আটক থাকে। এতে কলে আশপাশের এলাকা প্লাবিত হয়ে গেছে। মানুষের ঘরে পানি প্রবেশ করেছে।

মিলননগর এলাকার জমিরুল ইসলাম বলেন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা এতটায় নাজুক যা বলার ভাষা নেই। পৌরসভার গাফিলাতির কারণেই আজ আমাদের পানিবন্দি হতে হয়েছে। ড্রেনগুলো যদি পরিস্কার করা হতো তাহলে এমনটা হতো না।

এদিকে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে আমন ধানের বীজতলা, ভুট্টা, শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে গেছে বলে জানিয়েছে কৃষিবিভাগ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আফতাব হোসেন প্রিয়দেশকে বলেন, দুইদিনের ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে জেলায় ১২০ হেক্টর জমির আমন বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। কয়েকদিনের মধ্যে পানি সরে না গেলে বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকার্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রিয়দেশকে বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণেই পৌরবাসীদের পানিবন্দি হতে হয়েছে। পানিবন্দি ১৫০টি পরিবারের মাঝে আমরা খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছি। বন্যা মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র মির্জা ফয়সাল আমীন বলেন, নিয়মিত আমাদের পরিচ্ছন্নকর্মীরা পৌর এলাকার ড্রেনগুলো পরিস্কার করে। কিছু মানুষ ড্রেনের মধ্যে ময়লা ফেলার কারণেই আজ এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা ড্রেনগুলো পরিস্কার করে জলাবদ্ধতা মুক্ত করার কাজ করছি।