রাষ্ট্রায়ত্ত সব পাটকল বন্ধ ঘোষণা ও শ্রমিক-কর্মচারীদের জোর করে গোল্ডেন হ্যান্ডশেক দেওয়াসহ স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা প্রতিরোধ এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার(১১ জুলাই) সকাল ১১টায় ঠাকুরগাঁও চৌরাস্তায় উদীচী ঠাকুরগাঁও জেলা সংসদ এই কর্মসূচী পালন করে। সভাপতিত্ব করেন উদীচী জেলা সংসদের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সদস্য সেতারা বেগম। সমাবেশে উদীচীর বিভিন্ন নেতা কর্মীসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উদীচী ঠাকুরগাঁও জেলা সংসদের সহসভাপতি এমএস আহমেদ রাজু, অমল টিক্কু, উপজেলা সিপিবির সভাপতি আহছানুল হাবিব বাবু, ছাত্র ইউনিয়নের জেলা সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক, জেলা ঘাতক-দালাল নির্মুল কমিটির সদস্য সচিব সুচরিতা দেব, লেখিকা জুঁই জেসমিন, নিরাপদ সড়ক চাই ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি আবু মহিউদ্দীন প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন উদীচীর সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক রিজু।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরি খাত সোনালী আঁশ বলে খ্যাত পাট শিল্পকে ধ্বংস করার জন্য বিগত দিনের বিএনপি সরকারের মতোই এই সরকারও পাটকলগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে। শুধু পাটকলই নয়, শ্রমজীবীদের বহু শ্রমত্রেও রুদ্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। দুর্নীতিবাজ আমলা-কর্মকর্তা ও তাবেদারি নেতা কর্মীদের বহাল তবিয়তে রেখে কর্মহীন করা হচ্ছে মেহনতি শ্রমিকদের। করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের নানা লুটপাট ও চরম ব্যর্থতার চিত্র উন্মোচিত হয়ে গেছে। এই সরকার সাধারণ মানুষের স্বার্থের চেয়ে ব্যবসায়ী ধনীক শ্রেণির স্বার্থকে প্রাধান্য দিচ্ছে। বক্তাগন, দূর্নীতিবাজ মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের অপসারন এবং অবিলম্বে সরকারিভাবে করোনা পরীক্ষার জন্য আরোপিত ফি বাতিলসহ এর সকল চিকিৎসা বিনামূল্যে করার আহবান জানান। এছাড়াও তাঁরা ঠাকুরগাঁয়ে পিসিআর ল্যাব ও আইসিইউ স্থাপনের দাবী জানান। তারা আরও বলেন, সরকারের স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনাসহ অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জড়িয়ে প্রতিবাদকারীদের জেলে পোরা হচ্ছে এবং মুক্তবাক, মুক্তচিন্তা ও গণতান্ত্রিক মত প্রকাশের অধিকার হরণ করা হচ্ছে। চারিদিকে ভয়ের সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিয়ে মতার অন্যায্য ব্যবহার নিশ্চিত করার অপচেষ্টা চলছে। সভাপতি সেতারা বেগম বলেন, এভাবে আর চলতে দেয়া যায় না।
এজন্যে ন্যায্য দাবী আদায়ের লক্ষ্যে তিনি সকল স্তরের জনগণ, শ্রমজীবি ও পেশাজীবি শ্রেণিকে স্ব স্ব জায়গা থেকে প্রতিবাদ মুখর হওয়ার আহবান জানান।