বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সকল আন্দোলনে আপোষহীন নেত্রী, বিএনপি’র চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হয়রানিমুলক সকল মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহবান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক এসোসিয়েশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহবান জানান।
বিএনপি’র চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার প্রতিহিংসা পরায়ণ মনোভাবের প্রতিফলন হিসেবে দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহার এবং বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দ্রুত প্রত্যাহার করে তাঁকে স্বদেশে (নিজ মাতৃভূমি) ফিরে আসার সুযোগ করে দেওয়ার দাবিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মফস্বল সাংবাদিক এসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত ইবনে মঈন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব ও ডাকসুর সাবেক জিএস খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি নাজিমুদ্দিন আলম, আবু নাসের মোঃ রহমতুল্লাহ, কৃষক দল নেতা এসকে সাদি, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ এ সভায় বক্তৃতা করেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপার্সন ও বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। পতিত স্বৈরাচার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে তাঁর (বেগম খালেদা জিয়া) বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি বানোয়াট মামলা দায়ের করে তাঁকে হয়রানিমূলকভাবে জেলে রেখেছেন বছরের-পর-বছর। এর কারণ হচ্ছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সর্বদা আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য, দেশে গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠার জন্য সারা জীবন লড়াই করে যাচ্ছেন। দেশের স্বাধীনতা সুরক্ষা ও গণতন্ত্রের জন্য বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই নেত্রী তার পুরো জীবনটা বিলিয়ে দিয়েছেন কিন্তু স্বৈরাচারের ফাঁদে পা দিয়ে কখনোই আপোষ করার চেষ্টা করেননি।’
তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচারের কারসাজিতে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। তারেক রহমান তার তারুণ্যের পুরো সময়টা দেশের বাইরে কাটাতে বাধ্য হয়েছেন। তার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জোর করে তাকে বিদেশে পাঠিয়েছে। শুধু তাই নয়, বিগত দিনের ফ্যাসিস্ট সরকার বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকায়, মিডিয়ায় তার বক্তব্য প্রচার করতে দেয়নি। কিন্তু স্বৈরাচারের বিদায় হলেও তাঁদের দু’জনের মামলা এখনো প্রত্যাহার করা হয়নি।’