চট্টগ্রামে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে ডিম ক্রয়-বিক্রয় করতে না পারায় আড়ত বন্ধ রেখেছেন অনেক ব্যবসায়ী।
এতে ডিমে দাম আর লাগাম থাকবে না। সাধারণ বাজারে যাদের কাছে ডিম মজুদ আছে তাও অতিরিক্ত দামে বিক্রি হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এছাড়াও রশিদ না দেওয়া, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানার কারণে ডিম বিক্রি বন্ধ রেখেছেন কিছু আড়তদার।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাহাড়তলী ডিম আড়তদার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল শুক্কর লিটন।
তিনি বলেন, গতকাল আমাদের ডিম কিনতে হয়েছে ১২ টাকা ৮০ পয়সা। সরকার নির্ধারিত দাম ১১ টাকা ১ পয়সা। এ ছাড়া যাদের কাছ থেকে ডিম কিনছি তারা রশিদ দিচ্ছে না। হয়রানি থেকে বাঁচতে আজ থেকে ডিম বিক্রি বন্ধ রেখেছি। সরকারি দামে কিনতে পারলে তখন আড়তে ডিম বেচবো।
আড়তে ডিম বিক্রি বন্ধ থাকলেও খুচরা বিক্রেতারা এখনো ডিম বিক্রি করছেন।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের চিঠিতে বলা হয়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম উৎপাদন পর্যায়ে ১৬৮ টাকা ৯১ পয়সা ও পাইকারি পর্যায়ে ১৭২ টাকা ৬১ পয়সা দরে বিক্রি হবে। অন্যদিকে সোনালি মুরগি উৎপাদন পর্যায়ে ২৬০ টাকা ৭৮ পয়সা ও পাইকারিতে ২৬৪ টাকা ৫৭ পয়সা কেজি দরে বিক্রি হবে।
উৎপাদন পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম পড়বে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, যা পাইকারিতে হবে ১১ টাকা শূন্য ১ পয়সা।