জাফর আলম, কক্সবাজার:
দেশে দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক অস্থিরতা সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে সৃষ্ট বন্যা সহ নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার ছুটিতে লাখো পর্যটকের সমাগম হতে যাচ্ছে কক্সবাজারে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে ৫ দিনব্যাপী দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা হবে। পরদিন ১০ অক্টোবর সপ্তমী পূজার মাধ্যমে শুরু হবে দুর্গোৎসবের মূল আচার। অষ্টমী ও নবমী শেষে ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গোৎসবের। এবারে দেবী দুর্গা মর্ত্যে আসছেন দোলায় চেপে, ফিরবেন গজের পিঠে চড়ে।
বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত টানা টানা চার দিনের সরকারি ছুটি পাচ্ছেন কর্মজীবীরা। বর্ষা মৌসুমের শেষের দিকে শীতের আগমনী সময়ে তিনদিনের সরকারি ছুটিতে কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের সমাগম হবে বলে প্রত্যাশা পর্যটন উদ্যোক্তাদের।
সরেজমিনে কক্সবাজারের তারকা মানের হোটেল ঘুরে দেখা গেছে প্রায় কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে আগে থেকেই। তবে মাঝারি মানের হোটেল গুলো এখনও কিছু কিছু কক্ষ খালি ও তাও শীঘ্রই বুকিং হবে বলে জানিয়েছেন হোটেল মোটেল সংশ্লিষ্টরা। এদিকে যাত্রী চাহিদা বিবেচনায় দুর্গাপূজার ছুটিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে একটি বিশেষ যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।আসা-যাওয়ায় নিয়মিত দুই জোড়া ট্রেনের পাশাপাশি ১০ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিশেষ এই ট্রেন চলাচল করবে। এ সংক্রান্ত শিডিউল প্রকাশ করেছে রেলওয়ে। ঢাকা থেকে রাতে কক্সবাজারগামী বিশেষ ট্রেনটিতে আসন থাকবে ৫১৮টি। তবে দিনের বেলা কক্সবাজার থেকে ঢাকামুখী ট্রেনে আসন সংখ্যা থাকছে ৬৩৪টি। ট্রেনটি ১০ অক্টোবর রাত ১১টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে পরদিন সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে কক্সবাজার পৌঁছাবে। ১৩ তারিখ পর্যন্ত ট্রেনটি কক্সবাজারে যাত্রী পরিবহন করবে।কক্সবাজার আইকনিক রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার গোলাম রাব্বানী জানিয়েছেন, তিনদিনের টানা ছুটির কারণে যাত্রী চাহিদার বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চারদিনে মোট একটি বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। দূরত্ব বেশি হওয়ায় ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে যাত্রীরা ট্রেনের নিরাপদ ও আনন্দদায়ক ভ্রমণের এই সুযোগ পাচ্ছে। যেখানে ইতোমধ্যে সব টিকেটই বুকিং হয়ে গিয়েছে।