আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল আখলাক। তাঁর উত্তম চারিত্রিক আদর্শ বিশ্বমানবতার জন্য অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। আমরা যদি মহানবীর (সা.) জীবনাদর্শ, আখলাক মেনে চলি, তাকে অনুসরণ করি তাহলে সমাজে কোনো হিংসা-বিদ্বেষ থাকবে না।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আয়োজনে সিরাত কনফারেন্সে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, উত্তম চরিত্রের গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো- কারো অধিকার নষ্ট করা যাবে না। কারো কোনো ক্ষতি করা যাবে না। কাউকে কষ্ট দিয়ে কথা বলা যাবে না। এসব করে থাকলেও যত দ্রুত সম্ভব ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে- নবীজীর মতো দায়িত্বশীল আচরণ করলে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে আমরা সম্মানিত হবো।
আহমাদুল্লাহ বলেন, আখলাক সুন্দর হলে ঈমানের গুরুত্ব অনেক বেড়ে যায়। উত্তম আচরণকারী ও সৎ চরিত্রবানরা জান্নাতে মহানবী (সা.)-এর কাছাকাছি থাকার সুযোগ পাবেন। পরে তিনি শিক্ষার্থীদের লিখিত নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।
বক্তব্যের শুরুতে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। একইসঙ্গে আহতদের সুস্থতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। সিরাত কনফারেন্সে আরও আলোচনা করেন ইসলামী চিন্তাবিদ ও লেখক এসএম নাহিদ হাসান এবং কবির আনোয়ার।