ফিলিস্তিনের গাজার দুটি প্রধান শহর রাফাহ এবং খান ইউনিসের ভেতরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাণ্ডবে সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৬৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই গাজার এখানে সেখানে হামলা চালিয়ে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে ইসরায়েল। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার কোনো স্থানই এখন আর নিরাপদ নেই। বাস্তুহারা ফিলিস্তিনিরা যেখানেই আশ্রয় নিচ্ছেন সেখান থেকেই তাদের পালাতে বাধ্য করছে ইসরায়েলি সৈন্যরা।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। সেখানে এখনো সংঘাত বন্ধের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৯ হাজার ৩২৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৯০ হাজার ৮৩০ জন।
এদিকে ইসরায়েল-অধিকৃত গোলান মালভূমিতে ১২ জন নিহত হওয়ার ঘটনার উপযুক্ত জবাব দিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টকে চাপ দিচ্ছে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা।
অন্যদিকে শনিবার (২৭ জুলাই) গোলান মালভূমির একটি ফুটবল মাঠে রকেট হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২৯ জন। মাজদাল শামস নামক একটি গ্রামে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর চার সদস্য নিহত হওয়ার পরই এই হামলা চালানো হলো। ইসরায়েলের দাবি লেবাননভিত্তিক হিজবুল্লাহ সংগঠন ওই হামলা চালিয়েছে। তবে হিজবুল্লাহ এই হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।