অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শুন্যেতেই হারল বাংলাদেশ

বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ যৌথ বাছাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম লেগের ম্যাচে কোনো পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। ৭-০ গোলে সেই ম্যাচ হেরেছিল হাভিয়ের ক্যাবরেরার দল। তবে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ যৌথ বাছাইয়ে নিজেদের শেষ হোম ম্যাচে বাংলাদেশ দুর্দান্ত খেলেছে। কিংস অ্যারেনায় বিশ্বকাপে নিয়মিত খেলা অস্ট্রেলিয়ার কাছে মাত্র ২-০ গোলে হেরেছে। এর মধ্যে একটি গোল আবার আত্মঘাতী।

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের পরের পর্বে ওঠার সম্ভাবনা অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই এই হারে খুব একটা লাভ-ক্ষতির ব্যাপার ছিল না বাংলাদেশের। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়া এই জয়ে গ্রুপ পর্বের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে। শেষ ম্যাচে হারলেও শীর্ষস্থান হারানোর আশঙ্কা নেই তাদের।

তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটি বাংলাদেশর সর্বনিম্ন ব্যবধানে হার। এর আগে মোট ৩ বার মুখোমুখি হয়ে কখনো ৪ গোলের কম খায়নি বাংলাদেশ। চতুর্থবার সেই ব্যবধান দুইয়ে নামিয়ে এনেছে ক্যাবরেরার দল। তবে ৪ বার মুখোমুখি হয়ে এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার জালে বল জড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।

আজ ম্যাচের ২৯ মিনিটে লিড পায় অস্ট্রেলিয়া। অবশ্য এই গোলটা সৌভাগ্যক্রমে। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার আজদিন হুরস্টিক প্রায় ৪০ গজ দূর থেকে শট নেন। বক্সের আগে দাড়িয়ে থাকা বাংলাদেশের ডিফেন্ডার মেহেদী মিঠুর পায়ে লেগে বল দিক পরিবর্তন হয়। গোলরক্ষক মিতুল অন্য পোস্টে তাকিয়ে দেখেন বল জালে ঢুকছে। বাফুফে নিশ্চিত করেছে গোলটি আত্মঘাতী হিসেবে ম্যাচ অফিসিয়াল লিপিবদ্ধ করেছে।

ম্যাচের প্রথম ৪৫ মিনিট বাংলাদেশ অর্ধেই খেলা হয়েছে। রাকিব ও মোরসালিন চেষ্টা করেছেন কাউন্টার অ্যাটাকে যাওয়ার। ভেজা মাঠে তারাও পারেননি। প্রথমার্ধে বাংলাদেশের কোনো শট অন টার্গেট নেই।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ পাঁচ জন ফুটবলার পরিবর্তন করে। অধিনায়ক জামাল ভুইয়া ৫৫ মিনিটে নামেন। জামাল নামার কয়েক মিনিট পর দুই একটি আক্রমণে গিয়েছিল। যদিও সেগুলো পূর্ণতা পায়নি। অস্ট্রেলিয়া ৬২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে। বক্সের মধ্যে হেড করে কুসুনি হেড করে গোল করেন।

অস্ট্রেলিয়া গোল পাওয়ার পর সেভাবে আগ্রাসী ভূমিকায় ছিল না। বল দখল করে বাংলাদেশের অর্ধে নিয়ন্ত্রণ রেখেই সন্তুষ্ট ছিল। মিতুল মারমাকে মেলবোর্নের মত বেশি পরীক্ষায় পড়তে হয়নি। বাংলাদেশ কোচ শাকিল, চন্দন ও রিমনকে নামান একসঙ্গে। এতে খুব বেশি প্রভাব পড়েনি।