ভোলার লালমোহনে জমি বিরোধের জের ধরে ৪ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আলী হাওলাদার বাড়িতে শনিবার (20 এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কামাল গংরা শহিদ হাওলাদার গংদের সাথে জমিজমা ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শত্রæতা করে আসছে। সুযোগ পেলেই ক্ষতি করার চেষ্টা করে। যখন তখন অজুহাত সৃষ্টি করে মারতে আসে। জোরপূর্বক জমিজমা দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করে। শহিদ হাওলাদার তার বসতঘরের লাগোয়া পিছনে রান্নাঘর হিসেবে ব্যবহার করার জন্য চাল দেয়। ঘটনার দিন কামাল হাওলাদার, শাকিল, আলম, মুক্তার, সোহাগ, রহিমা, রুনা, মিতু, জায়েদা, ভানু, রুমাসহ আরো লোকজন এসে লাঠি, দা, ছেনি, লোহার রড, বগি ইত্যাদি নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। আঃ শহিদ হাওলাদার, তার স্ত্রী লুৎফা, ছেলে শরিফ ও পুত্রবধূ রুমা বেগমকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। গুরুতর জখম শহিদ, লুৎফা ও শরিফকে লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বিধায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। তিনজনের মাথায় কুপিয়ে জখম করেছে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেছে, শহিদ হাওলাদারের হাত ভেঙে দিয়েছে। আহত রুমা বেগমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। হামলাকারীরা শহিদ হাওলাদারের বসতঘরে লুটপাট করে স্বর্ণালংকার, টাকা ও মালামাল নিয়ে যায় এবং মহিলাদের টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানি করে।
আহতরা ও তাদের পরিবার আরো জানায়, আমাদের বসতঘরের দক্ষিণ পাশে মহিলাদের টয়লেট। তারা সেই পাশ জোরপূর্বক দিয়ে চলাচলের পথ নিতে চায়। আমরা চলাচলের পথ থেকে বসতঘরের উত্তর পাশ দিয়ে দিতে চাই। এ নিয়ে তারা আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা এ ঘটনার ন্যায় বিচার দাবি করেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত কামাল গংদের না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।