বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিবেদক: পটুয়াখালীর বাউফলে তুচ্ছ ঘটনায় নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের তিনজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছেন। রোববার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার কালাইয়া বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
আহতরা হলেন- কালাইয়া গ্রামের আলম হাওলাদারের ছেলে মশিউর রহমান সোহাগ(৪০), তার ভাগিনা মো. তুহিন ও একই গ্রামের ইসমাইল প্যাদার ছেলে মো. কিসলু (১৯)। তাদের মধ্যে গুরতর আহত মশিউর রহমান সোহাগকে স্থানীয়ভাবে একটি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় এক মাস আগে মশিউর রহমান সোহাগের সাথে কালাইয়া বটতলা এলাকায় ওয়ার্কসপ মিস্ত্রি রুহুল আমিন (৪০) ও পেট্রোল ব্যবসায়ী হাসানের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি তখনই নিজেদের মধ্যে মিমাংসা হয়ে যায়। ঘটনার দিন পুরানো ঘটনা নিয়ে আবারও সোহাগের সাথে হাসানের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় সোহাগ তার বাসা থেকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসে হাসানের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করেন। এসময় হাসান ও তার দুই ভাই জুলহাস, কিসলু ও ওয়ার্কসপ মিস্ত্রি রুহুল আমিন লোহার পাইপ ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে সোহাগকে কুপিয়ে ও পুটিয়ে গুরতর জখম করে। তুহিন তার মামা সোহাগকে বাঁচাতে গিয়ে ডান হাতের তিনটি আঙ্গুলেও জখম হয়। এসময় হাসানের ভাই কিসলুর ডান পায়ে জখম হয়েছে বলে জানা যায়। পরে স্থানীয়রা আহত সোহাগকে শাহেদা গফুর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশঙ্কা জনক অবস্থায় বরিশালে নিয়ে যান।
আহত সোহাগের ভাই মো. সোহেল মুঠোফোনে বলেন,‘ ঘটনার সময় আমি ছিলাম না। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে (সোহাগ) উদ্ধার করে বরিশাল নিয়ে যাচ্ছি। তার অবস্থা ভালো না, মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
এবিষয়ে পেট্রোল ব্যবসায়ী হাসানের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ওয়ার্কসপ মিস্ত্রি রুহল আমিন বলেন, ‘সোহাগ এক মাস আগে আমাকে মারধর করেছিলেন। আজও দোকানে এসে হাসানের সাথে তর্কে জড়ান। একপর্যায় তাদের মধ্যে কোপাকুপির ঘটনা ঘটে। এতে সোহাগ ও হাসানের ভাই কিসলু আহত হয়।
বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বলেন, ‘এখন পর্যান্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।