করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ঠাকুরগাঁও জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। অযথা বাড়ীর বাহিরে বের না হওয়াসহ বিকাল ৫টার পর ঔষধের দোকান ছাড়া সকল প্রকার দোকানপাট বন্ধ রাখতে বলা হয়।
কিন্তু সে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অকারণে বাড়ির বাইরে বের হওয়ায় এবং বিকেল ৫ টার পর দোকান খোলা রাখায় ঠাকুরগাঁও জেলার ৪ উপজেলায় ৩২টি মামলায় ১৯ হাজার ৯শত টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ-আল-মামুন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল আলম সুমন, পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম ও রানীশংকৈল উপজেলায় দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সোহাগ সাহা শুক্রবার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে উপরোক্ত দণ্ডাদেশ দেন।
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন হাট-বাজার, দোকানপাট ও আড়তে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ-আল-মামুন সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কোনো কারণ ব্যাতিত বাইরে বের হওয়ায় ২ ব্যক্তিকে ২হাজার টাকা জরিমানা করেন।
রাণীশংকৈলে সকালে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠের কাঁচা বাজারে সরকারী আইন না মানায় ৩ দোকানদারকে ২শ’ টাকা করে ৬শ’ টাকা ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা করেছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহাগ চন্দ্র সাহা।
সরকারি নির্দেশ অমান্য করে দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখাসহ বিভিন্ন অপরাধে দন্ডবিধি ১৮৬০ ও সংক্রমক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন ২০১৮ অনুযায়ী বিভিন্ন ব্যক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ৩২ জনকে মোট ১৯ হাজার ৯শ টাকা জরিমানা করা হয়।
৩২ টি মামলার মধ্যে সদর উপজেলায় ১২ টি , বালিয়াডাঙ্গীতে ৯ টি, পীরগঞ্জে ১ টি ও রাণীশংকৈলে ১০ টি ।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে জেলাবাসীকে বাঁচাতে জেলা প্রশাসন গত ১১ এপ্রিল ঠাকুরগাঁও জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেন।