কানাডার ভিসা পাওয়া ৪২ জন যাত্রীকে ফেরত পাঠানো নয়, তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সিলেটের যুব সংগঠক ও উদীয়মান সমাজকর্মী আহাদ মিয়া। একইসাথে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘এই হত্যার বিচার কি হবে?’
সিলেট সদর উপজেলার সম্ভাব্য এই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বলেন, যারাই নিজে বা নিজের ভাই ব্রাদারকে প্রবাসে পাঠিয়েছেন তারাই বুঝবে টাকা ব্যবস্থা করা কত কষ্ট। আমি মানলাম ৪২ জনের ৪২টা ভুল ছিল, কিন্তু তাদের আসল উদ্দেশ্য এরা পেটের দায়ে প্রবাসী হতে চায়।
তিনি বলেন, এটা আপনারাও জানেন, তাই তাদের ব্যাপারে সহজ এবং তাদের সহযোগী হওয়াই আমাদের দায়িত্ব ছিল।
আহাদ মিয়া বলেন, ৪২ জন যাত্রীর এখন রাস্থায় নামা উচিত এবং আমাদেরও ওনাদের সাথে থাকা দরকার। যথাযথ কর্তৃপক্ষের একটা সঠিক সিদ্ধান্তই এদের শান্ত করবে।
অভিনেতা মোরাদ ভাইয়ের সাথে আমি সহমত পোষণ করতেছি। সেই সাথে বিমান কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, ভুয়া আমন্ত্রণপত্রে আবেদন করে স্বপ্নের দেশ কানাডার ভিসা পেয়েছিলেন সিলেটের ৪২ জন। তারা সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশনও সম্পন্ন করেন। পরে কানেকটিং ফ্লাইটে ঢাকায় যাওয়ার পর কানাডাগামী বাংলাদেশ বিমানে ওঠার সময় ধরা পড়ে জালিয়াতির ঘটনা। ফলে ৪২ জনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরতে হয়। এ ঘটনা গত শুক্রবারের (১০ নভেম্বর) হলেও রোববার (১২ নভেম্বর) বিষয়টি জানাজানি হয়।