আহমেদ শরীফ রনি, নেত্রকোনা প্রতিনিধি: নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে বাল্য বিয়ে বন্ধ করেছে প্রশাসন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের থেকে মুছলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে পৌরশহরের উত্তর দৌলতপুরে ওই বাল্য বিয়ে বন্ধ করা হয়।
মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনিু বলেন, ইউএনও’র নির্দেশে পুলিশ গিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করেছে। এ সময় স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর ও এলাকার গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের থেকে বিয়ে না পড়ানোর মুছলেকা নেওয়া হয়।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোহনগঞ্জ পৌরশহরের উত্তর দৌলতপুরের মৃত সোহেল মিয়ার মেয়ে আশা মনির (১৪) বিয়ের কথা পাকাপাকি হয় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার মধ্যপুর গ্রামের আলীম উদ্দিনের ছেলে আলহামের (১৭) সঙ্গে। আলহাম কাজের সূত্রে আশা মনিদের বাসায়ই ভাড়া থাকতো। মেয়ের বাবা না থাকায় মায়ের সম্মতিতেই বিয়ে হচ্ছিল। বিয়ে উপলক্ষে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান চলছিল। আর বুধবার সকালে বিয়ে হওয়ার কথা। বর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানেই উপস্থিত ছিল। তবে বিয়েতে বাধ সাধে প্রশাসন। গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে হাজির হয় পুলিশ। উভয় পক্ষের লোকজনকে ডেকে বিয়ে না পড়ানোর মুচলেকা নেয় পুলিশ। সেইসঙ্গে বিয়ের সব আয়োজন ভণ্ডুল হয়ে যায়।
ইউএনও ছাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি বলেন, বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে পুলিশ ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে সেখানে পাঠাই। তারা গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেয়। সেই সঙ্গে ছেলে মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত এ বিয়ে না পড়ানোর মুচলেকা নেওয়া হয়। তারপরও আমরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছি গ্রামে কোথায়ও গিয়ে যাতে বিয়ে পড়াতে না পারে।