বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিবেদক: ব্যস্ত থাকেন দাপ্তরিক কাজে। কাজের ফাঁকে হাতে সময় পেলেই ছুঁটে যান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুমতি নিয়ে ঢুকে পড়েন শ্রেণিকক্ষে। শুরু করেন পাঠদান। একজন পেশাদার শিক্ষকের মতোই শিক্ষার্থীদের সাথে মিশে গিয়ে শিক্ষাদানে বেশ পটু তিনি। শুধু পড়ানোর ক্ষেত্রে নয়, শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যান বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. বশির গাজী।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চুঁটে যান উপজেলার বিলবিলাস আবদুর রশিদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। তখন ওই বিদ্যালয়ের নবমশ্রেণির জীববিজ্ঞান ক্লাস চলছিল। শ্রেণি শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে জীববিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষাদান শুরু করেন তিনি। দীর্ঘসময় তিনি শিক্ষার্থীদের পাঠদান করায়। সহজভাবে জীববিজ্ঞানের জানা অজানা বিষয় শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন। পাঠদান শেষে সকল শ্রেণিকক্ষ ঘুরে শিক্ষার্থীদের খোঁজ খবর নেন। পরে তিনি চলে যান বগা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। সেখানে অষ্টম শ্রেণির বাংলা ক্লাস নেন ইউএনও। বিদ্যালয়ের সাবির্ক খোঁজ খবরও নেন।
বিলবিলাস আবদুর রশিদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খাইরুল আলম বলেন, ইউএনও স্যার বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসে নবম শ্রেণির পাঠদান করিয়েছেন। এছাড়াও তিনি বিদ্যালয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, শিক্ষার্থী উপস্থিতি বাড়ানোসহ শিক্ষার মান উন্নয়নে বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
এ বিষয়ে ইউএনও মো. বশির গাজী বলেন, দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। তারপরেও হাতে সময় পেলেই কোন না কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরির্দশনে যাই। শিক্ষার্থীরা কী শিখছে তা যাচাই করি। শিক্ষকদের পাঠদানে মনোযযোগী হওয়ার জন্য তাগিদ দেই। শিক্ষকরা পাঠদানে উদাসীন হওয়ায় শিক্ষার্থীরাও ক্লাস ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করে।