বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিবেদক: পটুয়াখালীর বাউফলে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে এক সহকারি শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আহত ওই ছাত্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। তার নাম মো. হৃদয়।
বুধবার বিকেল ৩ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের এনামুলক হক মামুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ছাত্রের স্বজনেরা জানান,বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে পাঠদান চলাকালে একাধিক ছাত্র দুষ্টামি করছিলেন। এতে শ্রেণিকক্ষে থাকা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষক নিতাই চন্দ্র মণ্ডল হৃদয়ের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। তখন শ্রেণিকক্ষেই ওই ছাত্র অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। বিকেল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ে রেখে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়। ৭টার দিকে ওই ছাত্র বাড়ি ফিরে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। পরে রাত ৯টার দিকে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন স্বজনেরা।
আহত হৃদয়ের মা বলেন,‘ স্যার আমার ছেলেকে পিটিয়ে আহত করেছেন। ভালো চিকিৎসা না দিয়ে বিদ্যালয়ে বসিয়ে রেখেছেন। বাড়িতে আসার পর জ্বর উঠে অজ্ঞান হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য জানতে বিদ্যালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষক নিতাই চন্দ্র মণ্ডলের মুঠোফোনে একাধিক কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক এম.এ মান্নান বলেন,‘ বিদ্যালয়ের কাজে আমি বরিশালে ছিলাম। ৭টার দিকে ঘটনা শুনেছি। ঘটনা শুনে ওই ছাত্রকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেছি। বিষয়টি ইউএনও মহোদয়কে জানিয়েছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বশির গাজী বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন করা যাবে না। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।