‘বহিষ্কৃত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ আমেরিকান অ্যাম্বেসিতে গেছেন। সাবসিকুয়েন্টলি কেন গেছেন সেটি এখনও তিনি বলেননি। আমাদের কথা হলো, তাকে জায়গা দেয়াটা আমেরিকান অ্যাম্বেসির ঠিক হয়নি’ বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
তিনি বলেন, ড. মুহম্মদ ইউনূস ইস্যুতে বক্তব্যের জের ধরে বহিষ্কৃত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়াকে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে ডেকে নেয়াটা ঠিক হয়নি।
ড. ইউনুসের পক্ষে বিবৃতির পাল্টা ৫শ’ আইনজীবীর বিবৃতি দেয়া নিয়ে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির উত্তর হলে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মোমতাজ উদ্দিন ফকির বলেন, ‘বহিষ্কৃত ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়াকে আমাদের বহিষ্কার করতে হবে না। কারণ তিনি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সদস্যই নন।’
বার সভাপতি বলেন, ‘ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে যেসব শ্রমিক মামলা করেছেন তারা একটি কম্পানির। আর সেই কম্পানির মালিক হলেন ড. ইউনূস। আইএলও’র নিয়ম অনুযায়ী শ্রমিকরা মামলা করেছেন।
‘বিদেশিরা যে বিবৃতি দিয়েছেন মনে হয় তাতে ইনফরমেশন গ্যাপ (তথ্যের ঘাটতি) আছে। সে কারণে তারা এই বিবৃতি দিয়েছেন। এছাড়া পারপাসলি দেশের সার্বভৌমত্ব ও বিচার ব্যবস্থা নষ্ট করার জন্য এগুলো করা হচ্ছে।’
বার সভাপতি বলেন, ‘আপনি বাংলাদেশের নাগরিক। ইচ্ছা করলেই যেতে পারবেন সেখানে? অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়া আমরা যেতে পারব? বাচ্চা-কাচ্চাসহ তাকে (এমরান আহম্মদ) কেন ডেকে নিয়েছে, কোন উদ্দেশ্যে ডেকে নিয়েছে?’
প্রসঙ্গত, নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে বিবৃতি ইস্যুতে স্বাক্ষর না করে ৪ সেপ্টেম্বর পাল্টা বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া। এর জের ধরে ৭ সেপ্টেম্বর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়।